জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, সেটা ওঁর অনুরোধ'। আজ, বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বললেন, 'বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে যাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলব'।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল মুর্শিদাবাদ। পরিস্থিতি অবশ্য এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বোসকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যও দেন তিনি। এরপর রাজ্যপাল নিজেই জানিয়েছিলেন, আগামীকাল শুক্রবার মুর্শিদাবাদে যাবেন তিনি। শেষপর্যন্ত অবশ্য আজ, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল।
এদিকে রাজ্যপালকে 'আরও কিছু দিন অপেক্ষা' করার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমি নিজেই যেতে পারতাম। আমি যাচ্ছি না কেন? আমি যাব ঠিক সময়ে। আমি অনুরোধ করব মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয়কে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করুন। আমাদের মহিলা কমিশনও যেতে চেয়েছিল। তাঁদেরও আমরা বলেছি, আরও কিছুদিন অপেক্ষা করুন। আগে ওদের মধ্যে কনফিডেন্সটা বিল্ড আপ হোক। কারণ, বাইরে থেকে কেউ কেউ এসে অত্যাচার করেছে। তারমধ্যে পোশাকধারীও আছে। তারা ভয়ও দেখাচ্ছে'।
সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যেই মুর্শিদাবাদ পৌঁছে যাবেন রাজ্যপাল। এরপর আগামীকাল, শুক্রবার সকাল থেকে ঘুরে দেখবেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। রাজ্যপাল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, সেটা ওঁর অনুরোধ'।
এদিন মুর্শিদাবাদে অশান্তি ফের অমিত শাহকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ত্রিপুরা হয়েছে, ত্রিপুরায় যেতে বলুন। মণিপুরে হোম মিনিস্টারকে যেতে বলুন। অসমে যেতে বলুন। ত্রিপুরা তো আমাদের হাতে নেই। অসম তো আমাদের হাতে নেই। মণিপুর তো আমাদের হাতে নেই। বর্ডারও আমাদের হাতে নেই'।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, 'আগে বর্ডারে ৫ কিমি পর্যন্ত বিএসএফের অধীনে ছিল। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইন করে পঞ্চাশ কিমি করে দিয়েছে। অর্থাত্ আমাদের মানুষ থাকলেও, আমরা গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে পারি না। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না। রাজ্য প্রশাসনের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ৫০ কিমি। আগে একটা সিস্টেম ছিল, বাইর থেকে কেউ আসলে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের লোক থাকত। তাঁরা তথ্য রাখত, কারা আসছে, কোথা থেকে আসছে কীভাবে আসছে,কোন কাজে আসছে। এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পর আমাদের অফিসারদের থাকতে দেয় না। রেলপথে নিয়মিত যাতায়াত করছে। সীমান্ত গিয়ে কারা যাতায়াত করছে, তার জন্য আরপিএফ আছে, সিআরপিএফ আছে। বিএসএফ বর্ডার দেখে, কয়লা দেখে সিআইএসএফ। এরমধ্যে আমাদের জড়াচ্ছে কেন? শুধু মিথ্যে কথা বলা আমাদের নামে'।