স্বামীর একাধিক নারীসঙ্গ! প্রতিবাদে অশান্তি, ইছাপুরে ঘর থেকে উদ্ধার বধূর দেহ
প্রতিদিন | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক স্বামীর! তা নিয়ে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর। বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার গৃহবধূর দেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগ মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তাঁর স্বামী। ঘটনায় জড়িত শ্বশুড়বাড়ির সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াপাড়া থানার ইছাপুর আনন্দমঠ তেঁতুলতলা এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম পম্পা চট্টোপাধ্যায়। বয়স ৪৩ বছর। তিনি আনন্দমঠ এলাকার বাসিন্দা। পম্পার স্বামী দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বিএসএফে কর্মরত। অভিযোগ, দীপঙ্করের একাধিক নারীসঙ্গ ছিল। যা নিয়ে কলহ লেগেই থাকত। বেশ কয়েকবছর ধরে তাতে আপত্তি জানিয়ে ছিলেন পম্পা। অভিযোগ তা সত্ত্বেও বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক চালিয়ে যান দীপঙ্কর।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দীপঙ্করের নারীসঙ্গের কারণে প্রায় প্রতিদিনই দম্পতির অশান্তি হত। এই কারণেই মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের। মৃতের বাবা সুশান্ত সরকার বলেন, জামাইয়ের নারীসঙ্গ নিয়ে মেয়ের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই অশান্তি হত। মেয়ের মোবাইলে এর প্রমাণ ছিল। বুধবার মেয়ের সেই মোবাইল জামাই নিয়ে নেয়। এরপরই সে মেয়েকে খুন করেছে। ওরা বলছে ভোরে চা করতে গিয়ে মেয়ের স্ট্রোক হয়েছে। কিন্তু মেয়ের গলায়, হাতে, শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি।” অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
যদিও মৃতের শ্বশুর দিলীপ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “নাতনি বাইরে পড়তে যাবে, এনিয়ে বউমা মারাত্মক অবসাদে ভুগছিল। ওর বোন সেটা জানে। ভোরে ছেলে ডাকলে দেখি বউমা নীচে পরে রয়েছে। রাতে কিছু হয়েছিল কি না, বলতে পারবো না।” দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।