‘নাড়ু’র ভাবী বউ খুবই পছন্দের, বিয়ের সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেলেন দিলীপের মা
প্রতিদিন | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ের উদ্বেগ, ভালোবাসা, ইচ্ছা। তাতেই জুড়ল দুই মন। রাজনীতির আঙিনা থেকে এবার ছাঁদনাতলায় দিলীপ ঘোষ! শোনা যাচ্ছে, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির সহযোদ্ধা থেকে সহধর্মিণী হতে চলেছেন রিঙ্কু মজুমদার। ছেলের বিয়ের সিদ্ধান্তে নাকি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন মা পুষ্পলতা।
আজ কলকাতা, তো কাল মেদিনীপুর, আবার পরশু দিল্লি। জনসভা, মিছিলের ব্যস্ততায় দিন কাটে দিলীপ ঘোষের। রাজনীতির নেশায় বুঁদ ছেলে। সারাজীবন কে দেখবেন আদরের ‘নাড়ু’কে, তা নিয়ে দিনরাত চিন্তা করতেন মা পুষ্পলতা। তবে এবার চিন্তা দূর। শোনা যাচ্ছে, শুক্রবারই মধুরেণ সমাপয়েৎ। ওইদিনের নিউটাউনের বাড়িতে প্রেমিকা রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে আইনি বিয়ে সারছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। ভাবী পুত্রবধূকে নাকি বেজায় পছন্দ দিলীপের মায়ের।
আগে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন দিলীপ ঘোষের মা। তবে সূত্রের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনে হারের পর খানিকটা মুষড়ে পড়েন। তাতেই উদ্বেগ বাড়ে মায়ের। তারপর থেকে ছেলেকে কাছছাড়া করছেন না। নিউটাউনের বাড়িতে মায়ে পোয়ে বাস। সেখানেই ভাবী পুত্রবধূ রিঙ্কুর সঙ্গে প্রথম দেখা। দলের কাজে মাঝেমধ্যে বিজেপি নেতার বাড়িতে আসতেন রিঙ্কু। তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না। এক সন্তানের মা। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। ‘লড়াকু’ রিঙ্কুকে ভালো লেগে যায় বৃদ্ধারও। তাঁর ছেলের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হয়।
ঘর বাঁধুক দিলীপ ও রিঙ্কু, তা চাইতেন মা পুষ্পলতা। বিয়ের জন্য ক্রমাগত ছেলেকে চাপ দিতে থাকেন। ইতিমধ্যে আবার ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ দিলীপকে মনে ধরে যায় রিঙ্কুর। মন হারান বিজেপি নেতাও। প্রেমের জোয়ারে ভেসে দিলীপকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন রিঙ্কু। সূত্রের খবর, প্রথমে নাকি মোটেও রাজি হননি দিলীপ। মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর সিদ্ধান্ত বদল। বলা ভালো, মায়ের জোরাজুরিতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি নেতা। শোনা যাচ্ছে, শুক্রবার মায়ের উপস্থিতিতেই আইনি বিয়ে সারবেন দিলীপ ও রিঙ্কু। আমন্ত্রিতের তালিকা তেমন দীর্ঘ নয়। পাড়ার চায়ের ঠেক কিংবা বাড়ির ড্রয়িং রুম ? এই বিয়ে নিয়ে সর্বত্র চলছে জোর আলোচনা। শাসক শিবিরের তরফে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন দিলীপ। তবে গেরুয়া শিবিরের প্রায় সকলেই স্পিকটি নট। শোনা যাচ্ছে, দল নাকি বিয়ের সিদ্ধান্তকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না। শেষমেশ কী করেন বিজেপি নেতা, সেটাই এখন দেখার।