• ‘গরু দেখে বিএসএফ, কয়লা দেখে সিআইএসএফ’, এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে ফের শাহকে তোপ মমতার
    প্রতিদিন | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বহিরাগতরা ঢুকে হিংসা ছড়িয়েছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! সীমান্তে বিএসএফ প্রহরায় থাকার পরও কীভাবে অনুপ্রবেশ হল? বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, সীমান্তের দায়িত্ব কেন্দ্র। সুতরাং সেখানে সমস্যা হলে দায়িত্ব নেবে তারা। একইসঙ্গে মমতার অভিযোগ, সীমান্তে ৫০ কিলোমিটার জমি কেড়ে নিয়েছে কেন্দ্র। ফলে সমস্যায় পড়ছে রাজ্য। অথচ, বিজেপি বারবার অনুপ্রবেশের জন্য রাজ্য় সরকারকে দায়ী করেছে। এমন পরিস্থিতিতে মমতার প্রশ্ন, গরু দেখে বিএসএফ, কয়লা দেখে সিআইএসএফ। তাহলে সীমান্ত নিয়ে রাজ্যকে দোষী করা হচ্ছে কেন?

    বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাইরে থেকেও কেউ কেউ এসে অশান্তি পাকিয়েছে। আমাদের নয়। ভয়ও দেখাচ্ছে।” মুর্শিদাবাদের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশন। যাচ্ছেন রাজ্যপাল। এমনকী, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলও আসতে পারে বলে সূত্রের দাবি। যা নিয়ে মমতা বলেন,”হোম মিনিস্টারকে ত্রিপুরা, মণিপুর যেতে বলুন। অসমে যেতে বলুন। ত্রিপুরা-অসম-মণিপুর আমাদের হাতে নেই। বর্ডারও আমাদের হাতে নেই। এটা মনে রাখবেন।” মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, “আগে বর্ডারের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের হাতে ছিল। বর্তমান হোম মিনিস্টার আইন করে ৫০ কিলোমিটার করে দিয়েছে। অর্থাৎ আমাদের মানুষ থাকলেও আমরা গিয়ে দেখা করতে পারি না। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না।”

    রাজ্য সরকারের হাত থেকে জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “রাজ্য সরকারের হাত থেকে ৫০ কিলোমিটার জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কেন এটা হবে? প্রথম দিন থেকে আমি এর প্রতিবাদ করেছি। এবং এর প্রতিবাদ করে যাব।” তিনি আরও জানান, আগে নিয়ম ছিল সীমান্তের কাছে রাজ্য় পুলিশ থাকত। বাইরে থেকে কারা, কী কারণে আসা-যাওয়া করছে, তা নথিবদ্ধ করে রাখত। কিন্তু অমিত শাহ এসে সেই নিয়ম বদলে দিয়েছেন। এরপরই মমতার অভিযোগ, “এখন আর আমাদের অফিসারদের অ্যালাও করে না। ফলে তথ্য ভাগাভাগি করতে পারি না।” এরপরই খোঁচা, “বর্ডার দেখে বিএসএফ, গরু দেখে বিএসএফ কয়লা দেখে সিআইএসএফ। শুধু শুধু আমাদের জড়াচ্ছেন কেন? খালি মিথ্যে কথা।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)