চলন্ত বাসে ভয়াবহ আগুন। প্রাণ বাঁচাতে কেউ কেউ বাসের জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টাও করেন। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ভয়াবহ দৃশ্য দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে একটি যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস। কলকাতা থেকে হাওড়াগামী লেন ধরে যাচ্ছিল বাসটি। কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে বাসের যাত্রীদের লাগেজ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে খবর। বাসে আগুন লাগার ঘটনার জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আপ-ডাউন দুই লেনে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পর পর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর কলকাতা-হাওড়া ও হাওড়া-কলকাতা লেন ধরে যান চালানোর চেষ্টা চলছে।
কলকাতা থেকে পুরুলিয়াগামী ওই বাসটি এ দিন রাতে কলকাতা ছেড়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার পর পরই চাকায় আগুন লাগে বলে চেঁচাতে থাকেন বাসের কন্ডাক্টর। হুড়মুড়িয়ে বাস থেকে নামার চেষ্টা করেন যাত্রীরা। এমন পরিস্থিতি হয়, কেউ কেউ বাসের জানলা দিয়ে নীচে নামার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুহূর্তে বাসটিকে গিলে ফেলে বিধ্বংসী আগুন। এতটাই ভয়াবহ আগুন লাগে, ব্রিজের নীচে থাকা ঝুপড়িতেও সেই আগুন লেগে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের ২টি ইঞ্জিন, পরে আরও ১টি ইঞ্জিন আসে। বাসে থাকা সমস্ত যাত্রীরা প্রাণ নিয়ে নেমে এলেও অধিকাংশের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে।
বিটেকের ছাত্র রাহুল কর ছিলেন সেই বাসে। তিনি জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে তিনি নেমে এলেও তাঁর লাগেজ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সেই ব্যাগে তাঁর দশম শ্রেণি থেকে বিটেক থার্ড ইয়ার পর্যন্ত সমস্ত নথি, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, টাকা পয়সা ছিল। সে সব পুড়ে শেষ। একেবারে শূন্য হাতে সেতুর উপর দাঁড়িয়ে তিনি।