• ছেলের স্কুলের সামনে থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, সাইবার পুলিশের সাহায্য নিয়েই রহস্যভেদ
    এই সময় | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়াই কাল হলো অপহরণকারীদের। সাইবার পুলিশের সহযোগিতায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের। উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। হুগলির হরিপাল থানা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তদের বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হলে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এ দিন হুগলি জেলা গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান।

    বুধবার দুপুরে শুকুর আলি নামে ওই ব্যবসায়ী ছেলের স্কুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন বাড়ির লোকজন খোঁজ শুরু করেন। শুকুর আলির বাবা খুঁজতে যান ছেলেকে। দেখেন নাতির স্কুলের সামনে ছেলের বাইক রয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুকুরের বাড়িতে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

    রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হরিপাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাতেই তদন্তে নামে পুলিশ। যে নম্বর থেকে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল, তার সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। জেলা সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে অপহরণকারীদের ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা করে পুলিশ। রাতেই পাণ্ডুয়া থেকে শুকুর আলিকে উদ্ধার করা হয়।

    একটি ঘর থেকে উদ্ধার হন শুকুর আলি। গ্রেপ্তার করা হয় শেখ ইনজামুল ও হাসিবুল রহমান নামে দুই অপহরণকারীকে। তাদের জেরা করে আরও তিন অভিযুক্তের নাম পায় পুলিশ। রাতেই গ্রেপ্তার হয় মুন্সি আবদুল রহিয়ান, শেখ আসরফ আলি, শেখ আইনুল হক। অভিযুক্ত পাঁচজনেরই বাড়ি পাণ্ডুয়া থানা এলাকায়।

    ব্যবসায়িক শত্রুতা, পুরোনো কোনও বিবাদ এই ঘটনার নেপথ্যে বলে মনে করছে পুলিশ। সে সংক্রান্ত তথ্যও উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ। অপহরণের ঘটনায় যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটিও আটক করেছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)