ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বেরিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। সামনেই খড়গ উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আস্ত এক গন্ডার। চোখের সামনে গন্ডার দেখে রীতিমতো জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয় ময়নাগুড়ির রামসাই এলাকার বাসিন্দা চঞ্চলা দেবনাথের। ওদিকে গন্ডারের অবস্থাও হয়েছিল এমন কিছু।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কয়েক পা যেতে না যেতেই চঞ্চলা দেবনাথ দেখতে পান রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক গন্ডার। অত বড় বন্য প্রাণীকে সামনে দেখেই ভয়ে পাথর হয়ে যান চঞ্চলা দেবী। তার পর সম্বিত ফিরে পেয়ে আর্তচিৎকার দিয়ে পালাতে যেতেই ঘটল দুই বিপত্তি। এক দিকে তড়িঘড়ি জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড় দিতে পড়ে যান ওই ভদ্রমহিলা। বেশ জখমও হন তিনি। অন্যদিকে, চঞ্চলাদেবীর চিৎকার শুনে ঘাবড়ে গিয়ে পালাতে যায় গন্ডারটিও। কিন্তু হুড়োহুড়িতে সেও পা পিছলে উল্টে পড়ে।
জখম অবস্থাতেই পাড়ায় ফিরে গিয়ে সবাইকে বিষয়টি জানান চঞ্চলা দেবী। এদিকে, ততক্ষণে সামলে উঠে সেই এলাকা ছেড়ে গন্ডার তখন পা বাড়িয়েছে বাঁধের রাস্তার দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই এলাকায় লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে গন্ডারের হানার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বেলা সাড়ে আটটা পর্যন্ত গন্ডারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় রামসাই-সহ আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু গ্রামে। গন্ডার দেখতে ভিড় জমান অনেকে। স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, এই ঘটনার অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। গোরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের রামসাই মোবাইল স্কোয়াডের বনকর্মীরা খবর পেয়ে গন্ডারটিকে খুঁজে বার করেন এবং জঙ্গলে ফেরত পাঠান। এদিকে বিকেল নাগাদ জখম চঞ্চলা দেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জলপাইগুড়ি রামসাই রেঞ্জের বনকর্মীরা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন৷ রামসাই রেঞ্জের রেঞ্জার সর্বাশিষ বর জানিয়েছেন, ‘আঘাত তেমন গুরুতর নয়, ওই মহিলা এই মুহূর্তে সুস্থ রয়েছেন৷’