সংবাদদাতা, কালিয়াচক: পরিত্যক্ত বাড়িতে খেলার সময় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হল দুই শিশু। প্রথমে তাদের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিত্সা চলে। পরে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয় মালদহ মেডিকেলে। ঘটনাটি কালিয়াচক থানা এলাকার বীরনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দিনুটোলা গ্রামের। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিস গিয়ে ঘটনাস্থল ফিতে দিয়ে ঘিরে দেয়। পাশাপাশি বম্ব স্কোয়াডেও খবর দেওয়া হয় পুলিসের তরফে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে নাগাদ পাঁচ শিশু স্থানীয় ফরমান শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল। সেখানেই একটি বোমাকে বল ভেবে খেলতে শুরু করে শিশুরা। এক শিশু বোমাটি মাটিতে ছুড়তেই বিপত্তি ঘটে। জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হয় দুই শিশু। বাকিরা বিস্ফোরণের আওয়াজে অচৈতন্য হয়ে যায়। স্থানীয়রা প্রচণ্ড আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান ঘটনাস্থলে। দুই শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। আহত এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। তাকে মালদহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫ বছর ধরে ওই বাড়িটিতে ফরমান শেখরা বসবাস করেন না। বর্তমানে তাঁরা অন্য জায়গায় বাড়ি করে চলে গিয়েছেন। ওই বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থাতেই রয়েছে দীর্ঘদিন। জখম শিশুর আত্মীয় রবিউল শেখের কথায়, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সে ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে আমার ভাইপো এবং আরও কয়েকজন শিশু প্রতিদিন বিকেলে একসঙ্গে খেলাধুলো করত। এদিন বিকেলেও খেলতে খেলতে তারা কোনওভাবে পাঁচিল টপকে ওই বাড়ির ভিতরে চলে যায়। সেখানেই তারা বল ভেবে বোমাটিকে নিয়ে বেরিয়ে আসে। সম্ভবত খেলার জন্য বোমাটি ছুড়তেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমার ভাইপোর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যদিও ফরমানের ছেলে রাকিবুল শেখের মন্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ওই বাড়িটিতে বসবাস করি না। কেউ বা কারা হয়তো শত্রুতা করে আমাদের বাড়িতে বোমা রেখে দিয়েছিল। তবে আজকের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক।
কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, কীভাবে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা পৌঁছেছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিস। - নিজস্ব চিত্র।