সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প তৈরির জন্য আলিপুরদুয়ার পুরসভা শহরের বাইরে মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁটিমারিতে ২১ বিঘা জমি কিনেছিল। কিন্তু স্থানীয়দের বাধায় ১৫ বছর আগে কেনা ওই জমিতে পুরসভা এসডব্লুএম প্রকল্প তৈরি করতে পারেনি। তখন পুরসভায় কংগ্রেসের বোর্ড ছিল। দেড় দশক আগে কেনা ৩১সি জাতীয় সড়কের ধারে পুরসভার ওই জমি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে এখন। পুরসভার জমিটি গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। একাংশ জমি তলিয়ে গিয়েছে গদাধর নদীর গর্ভে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই জমি কিনে পুরসভা শুধু লক্ষ লক্ষ টাকার অপচয় করেছে। এসডব্লুএম প্রকল্প তো হয়নি, উল্টো জমি নদীগর্ভে চলে গেলেও পুরসভার তাতে কোনওরকম হেলদোল নেই। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, পুরসভার ওই জমি বেদখল হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ওই জমিতে পুরসভা অন্য কোনও প্রকল্প গড়ে তুলুক। এভাবে পুরসভার জমি বেহাত করা ঠিক নয়। পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বর্তমান বোর্ড অবশ্য জানিয়েছে, ওই জমি একটি এজেন্সিকে লিজ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য।
২০১০ সালে পুঁটিমারিতে অসমগামী ৩১সি জাতীয় সড়কের পাশে স্থানীয় গদাধর নদীর ধারে পুরসভার তৎকালীন কংগ্রেস বোর্ড এসডব্লুএম প্রকল্পের জন্য ওই জমি কিনেছিল। বিঘা প্রতি এক লক্ষ টাকা করে ওই জমি কিনেছিল পুরসভা। কিন্তু দূষণের অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা আন্দোলনে নামলে পুরসভা ওই জমিতে এসডব্লুএম প্রকল্প তৈরি থেকে পিছিয়ে আসে। তখন থেকেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরসভার জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
দেড় দশক পরে অবশ্য তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের আমলে মাঝেরডাবরি চা বাগানের কেনা জমিতে এসডব্লুএম প্রকল্প চালু হয়। শহরের বর্জ্য যাওয়াও শুরু হয়েছে পুরসভার সদ্য চালু হওয়া ওই প্রকল্প স্থলে। কিন্তু দেড় দশক আগে পুঁটিমারিতে কেনা জমি নিয়ে পুরসভার কোনও হেলদোল না থাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, পুরসভার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। আসলে বিগত বোর্ড পুঁটিমারিতে ২১ বিঘা জমি কিনে এসডব্লুএম প্রকল্প গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই ওই বোর্ডের আমলে কেনা পুরসভার ওই জমি কোনও এজেন্সিকে লিজ দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। নিজস্ব চিত্র।