• গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঁচ বছর বন্ধ সিজার, ব্যাপক দুর্ভোগ
    বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে গর্ভবতীদের সিজার পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে মালদহের গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এখানে আসা গর্ভবতীদের সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয় বলে দাবি। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। 

    তাঁদের দাবি, গাজোল থেকে মালদহ মেডিক্যালের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এত দূর গর্ভবতীদের নিয়ে যাওয়া ঝক্কির। স্টেট জেনারেল হাসপাতালে সিজারের সুবিধা না থাকায় আক্ষেপ করছেন অনেকে।

    হাসপাতাল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,দেড় বছর আগে মালদহে এসে ভার্চুয়ালি স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টেট জেনারেলের তকমা পাওয়ার আগে গ্রামীণ হাসপাতাল হিসাবে পরিচিত ছিল চিকিৎসাকেন্দ্রটি। এই হাসপাতালের উপর ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ নির্ভরশীল। ইটাহারের একাংশ বাসিন্দাও সেখানে আসেন। গত প্রায় পাঁচ বছর সিজার বন্ধ থাকায় সমস্যা বাড়ছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে চারজন গাইনো চিকিৎসক রয়েছেন। গাজোলের শিক্ষক অমল মার্ডি বলেন, সম্প্রতি আমার এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর সিজার করার মতো পরিস্থিতি হলে মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। সেখানে সিজারের ব্যবস্থা থাকলে কষ্ট করে অন্য কোথাও যেতে হতো না। এটা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। গত কয়েক বছর সিজার বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে।

    গাজোলের বাসিন্দা বাবলা সরকারের কথায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে সিজার চালু করা হচ্ছে না। এগুলি কেউ দেখে না। হাসপাতালের সুপার অঞ্জন রায় সিজার পরিষেবা বন্ধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁর মন্তব্য, পাঁচ বছরের বেশি সময় সিজার পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। অ্যানাস্থেসিস্ট কেউ নেই। আমরাও চাই সিজার এবং ওটি চালু হোক। হাসপাতালের বাউন্ডারি সহ বিভিন্ন কিছু আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব বিষয় জানানো হয়েছে।  গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতাল।- নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)