তিওরখালিতে চারমাস ধরে বন্ধ গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের কাজ
বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: শুরু হয়েও থমকে গিয়েছে নবদ্বীপের তিওরখালি ‘গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রজেক্টের নিকাশির কাজ। প্রায় চার মাস আগে নবদ্বীপ ব্লকের তিওরখালি ভিটের বটতলায় এই কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, স্থানীয় কিছু গ্রামবাসীর আপত্তিতেই কাজ বন্ধ রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা কেউ মুখ খুলতে নারাজ। স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ছবি হালদার বলেন, প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা মূল্যের এই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু গ্রামবাসীর আপত্তিতে সেই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই কাজ করতে বার বার এজেন্সির লোকজন গেলেও তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আমরা চাইছি কাজটা দ্রুত শেষ করতে। এই কাজ করতে গিয়ে গর্তে বৃষ্টির জল জমে যাচ্ছে। সেই জল কোথায় ফেলা হবে সে নিয়েও সমস্যা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এলাকাজুড়ে নিকাশি নালা রয়েছে। কিন্তু এতদিন নিকাশি নালার নোংরা জল ফেলার কোনও নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, জল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা করা হোক। সেই মতো এই ‘গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। ওই প্রকল্পে এলাকার নোংরা জল পরিশোধিত করে কৃষিকাজে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু জমিজটের কারণে প্রকল্পের কাজ প্রায় চার মাস ধরে আটকে আছে। ফলে যে উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হচ্ছিল সেই নোংরা জল নর্দমায় আটকে রয়েছে। নর্দমার জল গিয়ে পড়ত স্থানীয় কিছু কৃষিজমিতে। এর ফলে ফসলের ক্ষতি হতো। নর্দমায় জল জমে থাকায় এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নবদ্বীপ স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের তিওরখালি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন তিওরখালি পুরাতন পাড়া ভিটের বটতলা এলাকার কাছে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছিল গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি। তিওরখালি উত্তরপাড়ায় প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বসবাস। জানা গিয়েছে, এলাকায় প্রায় তিনশো মিটার ড্রেন রয়েছে। এই এলাকার নোংরা জল ড্রেনের মাধ্যমে ‘গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পে এসে পড়ত। এই প্রকল্পে সুবিশাল চেম্বার তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এখানে গোটা এলাকার নোংরা নর্দমার জল ওই চেম্বারে গিয়ে পড়ার কথা। সেখানে ওই জল বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পরিশোধন করার কথা। স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শম্পা মীর বলেন, এখানে চার মাস আগে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু শুধু গর্ত হয়ে পড়ে আছে। মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা পঞ্চায়েতকে বারবার বলছি দ্রুত কাজটা শেষ করতে।