• শক্তিপুর বইমেলায় ৫ লক্ষের বেশি টাকার বই বিক্রি
    বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: আটদিনের শক্তিপুর বইমেলা ভালো সাফল্য পেল। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে একদিন মেলা প্রাঙ্গণ লন্ডভন্ড হলেও পরদিনই মেলা কমিটি সেই ক্ষতি সামলে নিয়েছিল। আটদিনে পাঁচলক্ষের বেশি টাকার বই বিক্রি হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মেলা কমিটি ও বই বিক্রেতারা। মেলা কমিটি জানিয়েছে, শক্তিপুরে তৃতীয় বর্ষের বইমেলা এত সাফল্য পাবে, তা আমরা কল্পনা করতে পারিনি। মেলা কমিটির সভাপতি শত্রুঘ্ন ঘোষ বলেন, আমি নিজে বই বিক্রেতাদের সঙ্গে মেলার ভবিষ্যৎ জানতে কথা বলেছিলাম। তাঁরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, গ্রামীণ এলাকায় এত ভালো বইমেলা দেখা যায় না। শক্তিপুরের বইমেলা শহরের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ২০১৮ ও ২০১৯সালে পরপর দু’বার পুলিসের উদ্যোগে শক্তিপুর বইমেলা হয়। এরপর করোনা সঙ্কটের জেরে বইমেলা বন্ধ হয়ে যায়। এবছর জানুয়ারিতে সাংস্কৃতিক চেতনা মঞ্চ থেকে ফের বইমেলার প্রস্তাব ওঠে। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে ওই সংগঠনের সবাই মেলার প্রস্তুতিতে ঝাঁপান। বইমেলা কমিটির সম্পাদক প্রকাশ মণ্ডল বলেন, এবার খুবই সীমিত সময়ের মধ্যে বইমেলা আয়োজন করতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও মেলার সাফল্যে আমরা উজ্জীবিত। আশা করছি, আগামী বছর আরও বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করতে পারব। এবার শক্তিপুর বইমেলায় ৩২টি স্টল ছিল। মেলা কমিটি জানিয়েছে, বই বিক্রেতাদের পাশাপাশি খাবার ও হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রেতারাও খুশি। বিক্রেতারা দু’দিন মেলা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কালবৈশাখীর কথা ভেবে মেলা কমিটি বইমেলার দিন বাড়ানোর ঝুঁকি নেয়নি। এই বইমেলায় রামনগর, সাঁটুই, মাঙ্গনপাড়া সহ নানা এলাকা থেকে স্কুলপড়ুয়াদের ভিড় উপচে পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা কামালউদ্দিন বলেন, এলাকায় বইমেলার খুব ভালো প্রভাব পড়েছে। অপর বাসিন্দা বাঁকা রায় ঘোষ বলেন, আমরা চাই, প্রতিবছর এলাকায় বইমেলা আয়োজন করা হোক। আটদিনের বইমেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল। স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন। মেলা কমিটির আহ্বায়ক তুষারকান্তি দুবে বলেন, মেলা কমিটির পাশাপাশি এলাকার শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের মিলিত প্রচেষ্টায় বইমেলা সফল হয়েছে। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)