নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সরকারি নিয়ম না মেনেই তৈরি হচ্ছিল বাড়ি। এনিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি মালিককে নোটিসও দেওয়া হয়। জল গড়ায় আদালতে। অবশেষে আদালতের নির্দেশ মতো সেই ‘বেআইনি’ নির্মাণ ভাঙল মধ্যমগ্রাম পুরসভা। তবে বাড়ির মালিক বলেছেন, বিজেপি করার জন্যই আমি হেনস্তার শিকার হলাম।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বীরেশপল্লি এলাকায় বাড়ি জয়দীপ পালের। ওই এলাকায় দুটি হোল্ডিং নম্বরে এক কাটা চার ছটাক করে দু’টি জমি রয়েছে। সেগুলির মালিক জয়দীপ পাল ও তাঁর স্ত্রী সুমনা পাল। পুরসভা থেকে বিল্ডিং প্ল্যান পাস হওয়ার পর তিনি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিল্ডিং প্ল্যানে ২২টি পিলার তোলার কথা ছিল। কিন্তু জয়দীপ দু’টি হোল্ডিং নম্বরে থাকা দুটি জমি এক করে নির্মাণ শুরু করেন। ২২টি পিলারের জায়গায় ১৪টি পিলার দিয়ে কংক্রিটের নির্মাণ করেছেন। এমনকী বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভার আইন মেনে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নজরে আসার পরেই জমির মালিকপক্ষকে সেই কথা লিখিত জানায় পুরসভা। এই নিয়ে জমির মালিক জয়দীপ হাইকোর্টে মামলা করেন। দীর্ঘ সাতবছর মামলা চলার পর সম্প্রতি কোর্ট ওই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভাকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে হয়েছে বলেই দাবি চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষের। তাই, এদিন হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান, স্থানীয় কাউন্সিলার সহ পুরসভার বিল্ডিং দপ্তরের আধিকারিকের উপস্থিতিতে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়।
এনিয়ে চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান অনুযায়ী পিলার দিয়ে নির্মাণ হয়নি। আর কোনওরকম ছাড় না দিয়ে দুটি হোল্ডিং নম্বরের জমিকে এক করে নির্মাণ করেছেন জয়দীপ। পুরসভা ‘অবজেকশন’ করায় তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন। শেষে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এদিন ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হল। তবে পুরসভার এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি করেছেন জয়দীপ পাল। তিনি বললেন, কোনও বেআইনি নির্মাণ হয়নি। বাড়ি ভাঙার কোর্টের নির্দেশ আমাকে দেখানো হোক। আমি পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে লড়েছিলাম। সেই আক্রোশ থেকেই এই সব হচ্ছে। সমস্ত বিষয়টি আমি আদালতকে জানাব।
এনিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার অরবিন্দ মিত্র বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশেই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনও রাজনীতির ব্যাপার নেই। নিজস্ব চিত্র