৩০ দিনে কলকাতায় জমে ২১০ টন থার্মোকল প্রক্রিয়াকরণে ধাপায় নয়া ইউনিট
বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতায় প্রতিদিন বহু টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি বিক্রি হয়। এছাড়া নানা ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রীও বিক্রি হয়। যন্ত্রগুলি মোটা থার্মোকল দিয়ে মুড়ে শো-রুম থেকে সাপ্লাই করা হয় ক্রেতাদের বাড়ি। সে থার্মোকল কেউ বাড়ির ছাদে বা স্টোর রুমে ফেলে রাখেন। কেউ ফেলে দেন রাস্তায়। এই বর্জ্য দূষণ তৈরি করে। এতদিন থার্মোকল-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের কোনও ব্যবস্থা কলকাতায় ছিল না। ফলে প্লাস্টিকজাত অপচনশীল বর্জ্যের সঙ্গে থার্মোকল সংগ্রহ হলেও তা প্রক্রিয়াকরণের সুযোগ ছিল না। অনেক সময় জঞ্জাল সংগ্রহ করতে যাওয়া পুরকর্মীরাও তা নিতে অস্বীকার করতেন। সেই সমস্যা সমাধানে এবার থার্মোকল-বর্জ্য প্রসেসিং ইউনিট গড়েছে কলকাতা পুরসভা। প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা খরচ করে এ কাজের জন্য মেশিন কেনা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রসেসিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন হওয়ার কথা।
পুরসভার জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শহরে প্রতিদিন সাত টন থার্মোকল-বর্জ্য জমে। এর পুরোটা পুরসভা সংগ্রহ করতে পারে না। মোটামুটি এক থেকে দেড় টন থার্মোকল শুধু ধাপায় আসে। থার্মোকল পড়ে থাকলে তা নষ্ট হয়ে মাটির ক্ষতি করে। তাই প্রসেসিং ইউনিট তৈরি হয়েছে। পুরসভার এক বিভাগীয় আধিকারিক বলেন, প্রসেসিং না হওয়ায় এতদিন থার্মোকল বর্জ্য সংগ্রহ পুরোপুরি হতো না। তবে এবার নিয়মিত বাড়ি বাড়ি থার্মোকল সংগ্রহ হবে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে থার্মোকলের প্রায় ৩০ টন গুঁড়ো ধাপায় পড়ে আছে। এর বাইরেও বেশ কয়েক টন থার্মোকল আছে। এসব প্রসেস করা হবে। বৃহস্পতিবার ধাপায় নয়া জল প্রকল্পের কাজ দেখতে এসেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা জঞ্জাল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলি ঘুরে দেখেন। কলকাতা ছাড়া পার্শ্ববর্তী পুর এলাকার আবর্জনা নিয়মিত ধাপায় নিয়ে আসার প্রসঙ্গে বলেন, শুধু হাওড়া নয়, পানিহাটি, বিধাননগর, এনকেডিএ, নবদিগন্ত সব জায়গার আবর্জনা ধাপায় আসছে। তাই আমাদের মাথাব্যথা বেশি। কলকাতার উপর চাপ পড়ছে। অন্য পুরসভার উচিত এমন আধুনিক প্রসেসিং ইউনিট গড়ে তোলা। -নিজস্ব চিত্র