আঙুল ছাপ নয়, ১ মে থেকে দেশের সব মেডিক্যাল কলেজে হাজিরায় মুখের ছবি
বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কয়েক বছর ধরে দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডাক্তারদের আঙুল ছাপ নির্ভর হাজিরা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর জন্য ব্যয় হয়েছে কোটি কোটি টাকা। তবে এবার নয়া হাজিরা ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে এনএমসি। এবারের ব্যবস্থাটি হবে মুখের ছবি নির্ভর বা ফেস বেসড আধার অথেন্টিকেশন সিস্টেম। দেশের মেডিক্যাল পঠনপাঠনের এই শীর্ষ সংস্থা ১ মে থেকে দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজকে এই ব্যবস্থা চালু করবার নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার এই নির্দেশনামা জারি করেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। তাতে বলা হয়েছে, যে কোনও মেডিক্যাল কলেজের একাধিক লোকেশন বা জায়গার অক্ষাংশ-দ্রাঘিমায় পাঠাতে হবে এনএমসিকে। তার ১০০ মিটার ব্যাসের মধ্যে হাজিরা দেওয়া যাবে। শিক্ষক চিকিৎসকদের ফেস বেসড আধার অথেন্টিকেশন সিস্টেম অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। ২৪ এপ্রিল থেকে অ্যাপ চালু হয়ে যাবে। সমস্যার কথা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জানানো যাবে। ১ মে থেকে পুরনো ব্যবস্থায় আর হাজিরা দেওয়া যাবে না।
এদিকে হাজিরা নিয়ে ব্যবস্থার পর ব্যবস্থা চালু করে জনগণের করের টাকা নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই ক্ষোভপ্রকাশ করতে শুরু করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, কমপক্ষে ২৫টি ক্যামেরা, একাধিক আঙুল ছাপ মেশিন ইত্যাদি প্রযুক্তির ব্যবহার করে টানা কয়েক বছর ধরে দেশের সাতশোর বেশি মেডিক্যাল কলেজের পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করল এনএমসি। এতে লাভের লাভ কী হল? যাঁদের হাজিরা খারাপ, সেইসব শিক্ষক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন? আদৌ কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কি? যেসব মেডিক্যাল কলেজের হাজিরা অত্যন্ত ভালো এবং যাদের অত্যন্ত খারাপ—সেই তালিকা কি প্রকাশ করেছে? কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের একাধিক বিভাগের আসন বৃদ্ধি শুধু আটকেছে। কাজের সময়ে প্র্যাকটিস রুখতে কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে আগের হাজিরা ব্যবস্থা? আঙুল ছাপ একবার দিয়ে যেসব চিকিৎসক প্র্যাকটিসের জন্য বেরিয়ে ফের ফিরে এসে হাজিরা দিয়ে চালিয়ে যেতেন, তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছে আগের ব্যবস্থা? এবারে কি তা করা যাবে? এইসব প্রশ্নের কোনও উত্তর নির্দেশে নেই। এমনই জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য প্রশাসকদের একাংশ।