২১ এপ্রিল শালবনিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রীর
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
আগামী ২১ এপ্রিল বহু চর্চিত শালবনিতে জিন্দালদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তার পরের দিন গোয়ালতোড়ে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন তিনি। শালবনিতে ৮০০ মেগাওয়াট করে ২টি প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য জিন্দালরা ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছেন। ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের পথ উন্মুক্ত হতে চলেছে রাজ্যে। আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রাও।
জানা গিয়েছে, আগামী ২২ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টায় গোয়ালতোড়ে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ৭৫৭ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। জার্মানির এক সংস্থা এই প্রকল্পের জন্য ৮০ শতাংশ আর্থিক বরাদ্দ করেছে। রাজ্য সরকার বাকি টাকা দিচ্ছে। এছাড়া ওইদিন ২৫টি দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে ১৫টি জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে সেগুলি যাবে দিঘায়। বাকি ১০টি থাকবে কলকাতায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বলেন, “শিল্পের নতুন গন্তব্য বাংলা। আগামী ২১ এপ্রিল দুপুর দুটোয় শালবনিতে জিন্দালদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস। যতদিন যাচ্ছে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তার ফলে চাহিদা বাড়ছে। আগে মানুষ এসি ব্যবহার করত না। এখন প্রায় সকলে করেন। ১১ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে। দেউচা পাচামি হয়ে গেলে আগামী ১০০ বছর সমস্যা থাকবে না। বিদ্যুতের দাম কমে যাবে। আমরা দাম বাড়াই না। সিইএসসি দাম বাড়ায়। এটা আমাদের হাতে নেই। যত পাওয়ার প্ল্যান্ট তত দামে ভারসাম্য আসবে।”
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা আরও বলেন, “সাগরদিঘিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। দুর্গাপুর, বক্রেশ্বরে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। সাঁওতালডিহিতেও চলছে। বাংলা জুড়ে অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে। তার ফলে বাড়বে কর্মসংস্থান। আয়ও বাড়বে। এখন আর লোডশেডিং হয় না।”
উল্লেখ্য, কৃষকদের জমি জোর কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মমতাকে শিল্প বিরোধী তকমা দেওয়ার চেষ্টা করে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি ও সিপিএম। কিন্তু ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই মুখমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন কৃষি ও শিল্প – একসঙ্গে নিয়েই এগোবেন। সেকথাকে পাথেয় করে এগিয়ে রাজ্যে বেড়েছে কর্মসংস্থানও। ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে শিল্প স্থাপন করে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং কর্ম সংস্থানের একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন তাঁরই একটি অন্যতম উদ্যোগ। রাজ্য, দেশ তথা বিদেশের শিল্পপতি ও বিনোয়োগকারীদের একমঞ্চে সামিল করে বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্যোগে সাফল্যও মিলেছে প্রচুর। তাঁর জমানায় বাম আমলের শিল্প বিরোধী বদনাম ঘুচতে চলেছে রাজ্যের। বাড়ছে বিনিয়োগ। তারই একটি উদ্যোগ হিসেবে এবার শালবনিতে পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পে হাত বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।