Exclusive: ‘ওঁর বোল্ডনেস, ডেসপারেশন…’, বিয়ের আগে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আবেগে ভাসলেন ভাবী স্ত্রী
প্রতিদিন | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
রমেন দাস: বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই খবরে দিলীপ ঘোষ। ব্যাপারটা কী? নতুন কোনও মন্তব্য? নাহ! রাজ্য রাজনীতির ‘দুঁদে’ তকমাধারী একষট্টির দিলীপ এবার শিরোনামে একেবারে অন্য কারণে। তিনি নাকি ঘর বাঁধতে চলেছেন একান্নর রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে! স্বাভাবিক ভাবেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই জনমানসে বেড়েছে আগ্রহ। কে এই রিঙ্কু? যিনি জিতে নিয়েছেন এক প্রবীণ ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ রাজনৈতিক নেতার হৃদয়!
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ফোনে যোগাযোগ করেছিল নিউটাউনের বাসিন্দা রিঙ্কুর সঙ্গে। প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়, দিলীপকে মন দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ফ্যাক্টর’ কী ছিল? ৫১ বছরের রিঙ্কু পরিষ্কার জানালেন, দিলীপকে অনেকদিন থেকেই তাঁর পছন্দ ছিল। বলছিলেন, ”না, অ্যাকচুয়ালি ওঁকে ভালো লাগত। ওঁর বোল্ডনেস, ওঁর ডেসপারেশন, ওঁর দেশাত্মবোধ, সততা… আমার সঙ্গে প্রচুর মিল।” তবে ভালো লাগলেও মন দিয়ে ফেলাটা একেবারেই সাম্প্রতিক ব্যাপার। আসলে ১৮ বছর বয়স থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা। তবে এই বয়সে এসে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছিলেন উত্তর কলকাতা শহরতলির বিজেপি মহিলা মোর্চার পর্যবেক্ষক। তখনই মনে এসেছিল দিলীপের নাম। যদিও পরিচয় ম্যাট্রিমনির সূত্রে। আর তখনই তিনি বুঝে যান, দু’জনই একই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। তার উপর মানুষটি আদ্যন্ত রাজনীতির মানুষ। অন্য কেউ হলে স্ত্রীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকাটা মানবেন কিনা তা ভাববার বিষয়। সবদিক থেকেই দিলীপ ঘোষই যে তাঁর জন্য একেবারে সঠিক ‘চয়েস’ তা বুঝে নিতে সময় লাগেনি।
কিন্তু এই মন দেওয়া নেওয়া ক’দিনের? শোনা যাচ্ছিল, ২০২১ সালের পর নাকি আলাপ দু’জনের? জল্পনা উড়িয়ে রিঙ্কু জানাচ্ছেন, ”না, না! কী বলছেন? গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ধরতে পারেন।” মাস তিনেক সময় নিয়েছিলেন দিলীপ। শেষে পরিবারের সঙ্গে, বিশেষত মায়ের সম্মতি নিয়েই বিয়েতে রাজি হওয়া দিলীপের, জানাচ্ছেন রিঙ্কু।
শুক্রবার গাঁটছড়া বাঁধছেন দু’জনে। এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে এক হবে দু’টি মন। কী মেনু থাকছে কাল? প্রশ্ন শুনে এবার হেসে ফেলেন রিঙ্কু। সলজ্জ ভঙ্গিতে বলে ওঠেন, ”প্লিজ এই সব প্রশ্ন করবেন না। আমি এত সব উত্তর দিতে পারব না।”