সোমনাথ মাইতি, কাঁথি
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি মিললেও যোগ্য–অযোগ্যের তালিকা রাজ্য শিক্ষা দপ্তর না পাঠানো পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটল না জেলার প্রধান শিক্ষকদের। তবে তাঁদের আশা, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আশ্বাস মতো ২১ তারিখ যোগ্যদের তালিকা স্কুলগুলিতে পৌঁছলে এই ধোঁয়াশা কেটে যাবে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে স্কুলগুলি। যদিও চাকরি হারানো শিক্ষকদের সকলে স্কুলে আসবেন কি না তা পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি এখনও।
খেজুরির পাটনা বৈকুণ্ঠ শিক্ষাসদন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অসিত দাস বলেন, ‘আমাদের স্কুলের দু’জন ভৌত বিজ্ঞানের, একজন জীববিজ্ঞানের ও একজন ইতিহাসের শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। চারজনই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক। ক্লাস চালতে হিমসিম অবস্থা। শিক্ষকের অভাবে বুধবার থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির এ ও বি সেকশনের ছেলেমেয়েদের একটা ক্লাসে বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এক একটা ক্লাসে ১৬০-১৭০ জন পড়ুয়া এক সঙ্গে ক্লাস করছে। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আদালতের রায়ে যদি স্কুলের এই পরিস্থিতির উন্নতি হয় ভালো। এখন আমাদের কাছে শিক্ষা দপ্তরের কোনও নির্দেশ আসেনি। আমরা তো কাউকে স্কুলে আসতে বারণ করতে পারি না। তবে ২১ এপ্রিল রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ স্কুলে এসে পৌঁছবে।’
খেজুরির কলাগেছিয়া জগদীশ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মিহিরকুমার প্রধান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ বা তালিকা না পেলে চাকরি হারানো ৯ জন শিক্ষকের মধ্যে যোগ্য–অযোগ্য বাছব কী ভাবে? শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পর স্কুলের শিক্ষক সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা।’ এক কথা কাঁথির টাউন রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক নির্মলকুমার আদকেরও।
দিঘা দেবেন্দ্রলাল শিক্ষা সদনের দু’জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। এই দু’জন যোগ্য না অযোগ্য পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক নন্দগোপাল পাত্র। নয়াপুট সুধীরচন্দ্র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বসন্তকুমার ঘোড়াই বলেন, ‘সরকারি তালিকা ছাড়া আমরা তো কাউকে যোগ্য বা অযোগ্যের তালিকায় ফেলতে পারি না। আশা করা যায়, সোমবার শিক্ষা দপ্তরের এ সংক্রান্ত নির্দেশ স্কুলগুলিতে এসে পৌঁছবে। কারণ, ২০ তারিখের মধ্যে স্যালারি পোর্টালে শিক্ষকদের বেতনের সংক্রান্ত তথ্য সাবমিট করতে হবে। তা না হলে বেতন আটকে যাবে।’