• বিধায়করা এবার থেকে কত টাকা পাবেন চশমার বিল বাবদ?‌ অঙ্ক বেঁধে দিল বিধানসভা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • রাজ্য বিধানসভার বিধায়করা বেতন, ভাতা–সহ নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমনকী যেসব বিধায়কের চোখে চশমা আছে তাঁরা চশমার বিল বাবদও টাকা পেয়ে থাকেন। এই নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। অতীতের সেইসব বিতর্ক যাতে মা–মাটি–মানুষের সরকারের সঙ্গে জড়িয়ে না যায় তার জন্য এবার পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। বিধায়করা নিজের ইচ্ছামতো চশমা বানিয়ে বড় অঙ্কের টাকার বিল ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার থেকে বিধানসভায় যা ইচ্ছে অঙ্কের চশমার বিল জমা দেওয়া যাবে না। বিধানসভা কর্তৃপক্ষ এবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, চশমা বাবদ নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হবে বিধায়কদের।

    কত টাকা ধার্য করা হবে?‌ বিধানসভা সূত্রে খবর। এবার থেকে একজন বিধায়ক চশমার বিল বাবদ পাবেন পাঁচ হাজার টাকা। বিধায়কদের বেতন কম ছিল। সেটা একধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে বেড়েছে ভাতাও। বিধায়করা টাকার জন্য যাতে কোনও দুর্নীতিতে জড়িয়ে না পড়েন তার জন্যই বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার চশমার বিল বাবদ টাকার অঙ্ক বেঁধে দিল বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। তবে চশমা বানানোর জন্য পাঁচ হাজার টাকাও অনেক বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখন নানা ব্র‌্যান্ডের এবং চোখ ভাল থাকে এমন চশমা তৈরি করতে বেশ কিছু টাকা লাগে। সেটা পাঁচ হাজার টাকায় হওয়া সম্ভব।


    কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?‌ চিকিৎসা করিয়ে বিল জমা দিয়ে টাকা পান বিধায়করা। সম্প্রতি বিধানসভা কর্তৃপক্ষ দেখেছে, কয়েকজন বিধায়ক চিকিৎসা বাবদ কয়েক লক্ষ টাকার বিল জমা দিয়েছেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিলগুলি সরেজমিনে পরীক্ষা করছেন। এমনকী সংশ্লিষ্ট বিধায়ক এবং বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠান। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করেন। এরপর অধ্যক্ষের চোখে পড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে একদিনের জন্য ২৫ হাজার টাকার কেবিন বেডের বিল জমা দিয়েছেন একজন বিধায়ক। তাই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একজন বিধায়ক সর্বাধিক দৈনিক ৮ হাজার টাকা মূল্যের বেড ভাড়া এবং চশমার জন্য পাঁচ হাজার টাকা পাবেন।

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই নির্দিষ্ট টাকার অঙ্ক বেঁধে দেওয়ায় অনেক বিধায়কই খুশি নন। তবে এই নিয়ে তাঁরা সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া বিধানসভার অধ্যক্ষকে জানাননি। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর। সেখানে শাসক–বিরোধী দুই শিবিরেরই বিধায়করা রয়েছেন। চশমার বিল দেদার অঙ্কের টাকার করার নজির দেখা গিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারের সময়। সেই রেওয়াজ যাতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের জমানায় না হয় তাই টাকার অঙ্ক বেঁধে দেওয়া হল। বামফ্রন্ট সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়ের ২৫ হাজার টাকার বেশি চশমার বিল নিয়ে বিধানসভায় হট্টগোল পড়ে গিয়েছিল। আর তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র এবং কাঞ্চন মল্লিকের মোটা অঙ্কের বিল প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এবার এই পদক্ষেপে এগুলি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)