ক্যাবে করে দিল্লি থেকে কলকাতা, ভাড়া না মিটিয়ে চম্পট দিল যুবক, বিপাকে চালক
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
দিল্লির এক ক্যাব চালকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠল রাজারহাটের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ক্যাবে করে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসার পর ২১ হাজার টাকা ভাড়া না মিটিয়ে চম্পট দেন ওই যুবক। তাতে চরম সমস্যায় পড়েন ওই ক্যাব চালক। শেষ পর্যন্ত ক্যাব সংগঠন এবং পুলিশের তৎপরতায় বকেয়া ভাড়া পান ওই ক্যাব চালক।
জানা গিয়েছে, ক্যাব চালকের নাম উদয়ভান। একটি অ্যাপ সংস্থার মাধ্যমে ক্যাবটি বুক করেছিলেন রাজারহাটের কাজিয়ালপাড়ার বাসিন্দা শুভম চক্রবর্তী। গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দিল্লির কাশ্মীরি গেট থেকে উদয়ভানের ক্যাবে ওঠেন ওই যুবক। রাত ৯টা নাগাদ সেখান থেকে ক্যাব রওনা দেয়। অগ্রিম ভাড়া বাবদ শুভম ক্যাব চালককে ১০ হাজার টাকা মিটিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, শুভম ক্যাব চালককে বলেছিলেন তাঁর দাদু মারা গিয়েছেন। ফলে বাড়িতে যাওয়ার অন্য কোনও ব্যবস্থা না পেয়ে বাড়িতে ফিরতে হবে তাঁকে। শুভম নিজেকে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলে পরিচয় দেন। একইসঙ্গে তাঁর বাবা একজন পুরপ্রতিনিধি বলেও দাবি করেন। এই দীর্ঘ পথে আসার সময় তাঁরা একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় খেয়েছেন এবং বিশ্রাম নিয়েছেন। তবে ১২ এপ্রিল কলকাতায় পৌঁছে সকাল ১০টা নাগাদ কৈখালির কাছে একটি দোকানের সামনে চালককে থামতে বলেন অভিযুক্ত। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। গাড়ি থামা মাত্র ওই যুবক ব্যাগ নিয়ে নেমে চম্পট দেয়। আগে থেকেই সেখানে একটি বাইক অপেক্ষা করছিল। সেই বাইকে উঠে পালিয়ে যান তিনি।
পরে উদয়ভান বিষয়টি বুঝতে পেরে বিমানবন্দর এলাকায় হাসান নামে এক ক্যাব চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই ক্যাব চালক পরে উদয়ভানকে ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের অফিসে নিয়ে যান। তাঁদের সাহায্যে রাজারহাটে অভিযুক্তের বাড়িতে যান উদয়ভান। সেখানে গিয়ে অভিযুক্তের বাবাকে সব কথা জানান তিনি। কিন্তু, পরে ফের সেখানে যেতেই ঘর তালাবন্ধ দেখতে পান তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ওই ক্যাব সংগঠনের সহযোগিতায় চালক
বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ফোন নম্বরের মাধ্যমে অভিযুক্তের সন্ধান পায়। এর পরেই ভাড়া মেটাতে রাজি হন অভিযুক্ত যুবক। শেষে তিনি ক্যাব চালকের ভাড়া মিটিয়ে দেন। যদিও পরে পুলিশ যুবকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এবিষয়ে উদয়ভানের বক্তব্য, বাংলায় এসে এমন অভিজ্ঞতা হবে তিনি ভাবতেও পারেননি। ক্যাবচালক সংগঠনের বক্তব্য, ভিন রাজ্যের ক্যাব চালকের সাহায্য না করলে বাংলা সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হতো।