হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বিগত কয়েকদিনের চিত্র মনে করে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, ১৭ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাঁদের কি হবে? আচমকা অশান্তি শুরু হলে কারা তাঁদের নিরাপত্তা দেবে? তাঁদের সকল দুশ্চিন্তার জট ছাড়িয়ে বৃহস্পতিবার স্বস্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আপত্তি জানায়নি রাজ্যও।
মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আদালতের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি স্কুলগুলির দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সামনেই পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। তাই স্কুলগুলি যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেইদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উস্কানিমূলক বক্তব্য না রাখার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ঘরছাড়াদের লিস্ট দেওয়া হলে তিনি দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে দেবেন। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদে দোকান-সহ সবজি বাজার খুলে গিয়েছে। নতুন করে কোনো অশান্তি আর হয়নি। অন্যদিকে, মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জানিয়েছেন, প্রায় ৯০টি পরিবার ঘরছাড়া। তাঁদের মধ্যে কেবল মাত্র ছয়টি পরিবার ফিরে গিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেছেন, ঘরছাড়াদের ফেরানোর জন্য একটি কমিটি গড়ে দেওয়া যায়। এই মুহূর্তে তাঁদের ঘরে ফেরাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আদালতে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা হবে।