• পূর্ব মেদিনীপুরে জোড়া সাফল্য, ইসরোয় প্রশিক্ষণে সুযোগ পেল দুই কৃতী পড়ুয়া
    এই সময় | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • পূর্ব মেদিনীপুরে জোড়া সাফল্য। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর প্রশিক্ষণ শিবিরে সুযোগ পেল সেই জেলারই দু’জন কৃতী পড়ুয়া। ১৫ বছর বয়সেই এগরার বাসিন্দা আদিত্যজ্যোতি কর ইসরোর প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। অন্য দিকে, ওই জেলারই জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের ছাত্রী স্নেহা বেরা সুযোগ পেয়েছেন ইসরো-র ইউভিকা ২০২৫-এ যোগ দেওয়ার। অল্প বয়সে ইসরোয় সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছসিত তাদের পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পাবলিক স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আদিত্যজ্যোতি ইসরোয় ১৫ দিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেবে। অল্প বয়সেই ইসরোয় সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে তার আগ্রহ তুঙ্গে। তার ঝুলিতে রয়েছে রাজ্য ও জেলা স্তরের বিজ্ঞান বিষয়ক প্রচুর পুরস্কার। এই বয়সেই আদিত্যজ্যোতি শিখে নিয়েছে এথিক্যাল হ্যাকিং-এর মতো জটিল বিষয়। বাড়ির কম্পিউটারে নিজেই তৈরি করেছে অপারেটিং সফটওয়্যার। ভবিষ্যতে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়েই গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে আদিত্যজ্যোতির। তবে বিজ্ঞানের প্রতি এই ভালোবাসা তৈরি হয়েছে তার নিজের বাড়ি থেকেই।আদিত্যজ্যোতির বাবা কনককান্তি কর বিজ্ঞানের শিক্ষক। তার দিদিও বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করছেন।

    প্রথমে ইসরো থেকে চিঠি আসার পরে বিশ্বাসই করতে পারেনি আদিত্যজ্যোতি। তার কথায়, ‘স্কুলের এক শিক্ষকের কথা মতো ইসরোর ওয়েবসাইটে অনলাইনে একটি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সেখান থেকেই আমাকে ইসরো প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করেছে। আমাকে মা, বাবা, দিদি ও দাদু খুব সাপোর্ট করেন। আমার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সবসময় আমার পাশে রয়েছেন। আমার এই সাফল্য তাঁদের জন্যই।’

    অন্য দিকে, ইসরোর যুব বিজ্ঞানী কর্মসূচি (ইউভিকা) ২০২৫-এ চান্স পেয়েছে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র স্নেহা বেরা। স্নেহার এই সাফল্যে স্কুলে এবং এলাকায় খুশির হাওয়া। তার ছোটবেলার স্কুল দক্ষিণ সারদাময়ী শিশু শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও অত্যন্ত গর্বিত। স্নেহার বর্তমান স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরাও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। স্নেহা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সে মহাকাশ গবেষণা নিয়েই কাজ করতে চায়।

    প্রসঙ্গত, ইউভিকা (Young Scientist Programme) হল ইসরোর একটি উদ্যোগ। যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গবেষণা ও মৌলিক উদ্ভাবনের প্রতি উৎসাহিত করা হয়। নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ইসরো কেন্দ্র পরিদর্শনের সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক কর্মশালা ও আলোচনা সভায় অংশ নিতে পারে।

  • Link to this news (এই সময়)