শর্তসাপেক্ষে মুর্শিদাবাদে ত্রাণ বিলিতে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। অশান্তির আবহে সেখানে ত্রাণ বিলি করতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এরপর জেলায় ত্রাণ শিবির খুলতে চেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। এই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, মুর্শিদাবাদে ত্রাণ বিলি করা যাবে।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আবহে মুর্শিদাবাদে ঘর ছাড়া বহু মানুষ। বাড়ি ভেঙে দেওয়ায় অনেকেই খোলা মাঠের মধ্যে থাকছেন। তাঁরা খাবার যোগার করতেও সমস্যায় পড়ছেন। এই আবহে সেখানে ত্রাণ শিবির খুলতে চেয়েছিলেন একটি স্বেচ্ছাস্বেবী সংস্থা। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা হয়ে ওঠেনি। আবেদন করেও মেলেনি সাড়া। তাই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ওই সংস্থা।
শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছেন, সপ্তাহে দুই দিন করে ওই সংগঠন মুর্শিদাবাদে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে পারবে। তবে কর্মসূচির ২৪ ঘণ্টা আগে জেলাশাসককে জানাতে হবে। কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে সংস্থার সদস্যদের। কাদের ত্রাণ বিলি করতে চান, কোন এলাকায় এই কর্মসূচি হবে, এ সব বিস্তারিত তথ্য তাঁদের জানাতে হবে। পাশাপাশি ত্রাণ বিলির সময় কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না।
ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে রামকৃষ্ণ মিশন। অশান্তির আবহে মুর্শিদাবাদ থেকে বহু মানুষ পালিয়ে এসেছেন মালদহ জেলায়। সেখানেই ঘরছাড়াদের ত্রাণ বিলি করেছে রামকৃষ্ণ মিশন। জেলার পারলাপুর হাইস্কুলে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়া পরিবারগুলির একাংশ। তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ।