• বিরোধী দিলীপকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে নাচ কীর্তি আজাদের, বিলি করলেন মিষ্টিও
    প্রতিদিন | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা ছিলেন যুযুধান প্রতিপক্ষ। একে অপরের প্রতি সেসময় রাজনৈতিক মঞ্চে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক বলেই পরে জানিয়েছিলেন তাঁরা। দিলীপ ঘোষের বিয়েতে (Dilip Ghosh Wedding) এবার শুভেচ্ছা জানালেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ‘বন্ধু’ কীর্তি আজাদ। শুধু তাইই নয়, বর্ধমানে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিষ্টিও বিলি করলেন তিনি। ‘মেরে ইয়ার কি সাদি হে’ গানের সঙ্গে নাচলেনও কীর্তি।

    ৬৩ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার নিউটাউনের বাড়িতে রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন বিজেপির এই দাপুটে নেতা। রাজ্য রাজনীতিতে এই বিষয় নিয়ে জোর চর্চাও হচ্ছে। রাজনীতিবিদরা তাঁদের দু’জনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কার্যত এককদম এগিয়ে এদিন দিলীপকে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ।

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন কীর্তি। এই কেন্দ্র নিয়ে রাজনৈতিক মহলের নজরও ছিল। প্রচারের সময় দিলীপ-কীর্তি মন্তব্য পালটা মন্তব্যে ভোটের রাজনীতির পারদ আরও চড়েছিল। জেতার বিষয়ে বরাবরই আশাবাদী ছিলেন দিলীপ। কিন্তু ফল বেরতে দেখা যায়, পরাজিত দিলীপ। জয়ের সবুজ আবির মেখেছিলেন কীর্তি। নির্বাচনের দিন বর্ধমানের দুই প্রতিপক্ষ মুখোমুখি হয়ে কোলাকুলিও করেছিলেন।

    দিলীপ ঘোষ বিবাহবন্ধনে (Dilip Ghosh Wedding) আবদ্ধ হচ্ছেন শুনে খুশি হয়েছেন কীর্তি আজাদ। শুধু তাই নয়, ‘মেরে ইয়ার কি সাদি হে’ গানের সঙ্গে তিনি নেচেওছেন। এদিন বর্ধমানে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি করা হল। সাংসদ নিজেও মিষ্টিমুখ করেছেন। কর্মীদের সঙ্গে হাসিমুখে চাও খেয়েছেন। তিনি বলেন, “নতুন বউদি আর দিলীপদাকে হার্দিক অভিনন্দন। নতুন জীবন সুখের হোক। আমরা একে অপরে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বিবাহ জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দিলীপদার বিবাহ নিয়ে শুভেচ্ছা জানানো আমার কর্তব্য।”

    দিলীপ ঘোষ বরাবর ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন। সেই ইস্যুকে নিয়ে এদিন কিঞ্চিত খোঁচাও দিয়েছেন কীর্তি। তিনি বলেন, ”লক্ষ্মী-নারায়ণ একসঙ্গে উচ্চারিত হয়। রামের সঙ্গে সীতাও বনবাসে গিয়েছিলেন। রাবণ বধও হয়েছিল। আমি আশা করব এরপর থেকে দিলীপদা জয় সিয়ারাম বলবেন।” দিলীপ ঘোষের বিয়েতে এদিন ৩০ জন নিমন্ত্রিত। আমন্ত্রণ পাননি কীর্তি আজাদ। তবে সেই নিয়ে তাঁর তেমন খেদও নেই। যদিও এদিন কীর্তি বলেন, ”আমন্ত্রিত থাকলে ওই এলাকায় বিক্রি হওয়া সব ফুল নিয়ে সেখানে যেতাম।” দিলীপ ঘোষ এখনও যথেষ্ট তরুণ। শরীরচর্চা করেন। সেই কথাও বলেছেন তৃণমূল সাংসদ। এবার থেকে ‘বন্ধু’ দিলীপকে মাথা ঠান্ডা রাখতেও অনুরোধ করেছেন কীর্তি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)