ওয়াকফ হিংসায় ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে মালদায় কমিশন, শশী পাঁজা বললেন…
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসায় ঘরছাড়া হয়ে মালদায় এখনও রয়েছেন কয়েকশো জন। এই আবহে আজ জাতীয় মানবাধিকর কমিশনের সদস্যরা মালদায় গিয়ে হিংসায় নির্যাতিতদের সঙ্গে দেখা করেন। এই আবহে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা দাবি করলেন, এই কমিশন রাজ্যকে বদনাম করার জন্যে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার রাজ্যে বিভিন্ন ঘটনার সময় কেন্দ্রের তরফ থেকে কমিশন পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শশী পাঁজা।
রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, 'প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বিগত বছরগুলিতেও রাজ্যকে বদনাম করার জন্য সর্বদা পশ্চিমবঙ্গে কমিশন পাঠানো হয়েছে, এবং এর পিছনে একমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই আছে। যদি মানবাধিকার কমিশন এবং মহিলা অধিকার কমিশন সত্যিই নিশ্চিত করতে চায় যে কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়, তাহলে তাদের প্রথমে মণিপুরে যাওয়া উচিত ছিল... জাতীয় কমিশনগুলি আমাদের রাজ্য কমিশনগুলির বক্তব্য উপেক্ষা করে। রাজ্য কমিশনগুলি দেখেছে যে জাতীয় কমিশনগুলি এখানকার জনগণকে তাদের অভিযোগ দায়ের করতে উৎসাহিত করার নামে উত্তেজিত করে তোলে। সম্ভবত কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্য করে সেই বিষয়টা। বিজেপিকে এটা খুশি করে এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যায় বিষয়টি।'
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবার। এদিকে এলাকায় শানতি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।