• ভাঙচুরের কারণে মুর্শিদাবাদে কত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত? ত্রাণের কী ব্যবস্থা? জানাল প্রশাসন
    এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনের মাঝেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল মুর্শিদাবাদের বিস্তীৰ্ণ এলাকায়। একাধিক বাসিন্দাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ইট বৃষ্টি, মারধরের কারণে আহত হন বহু মানুষ। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একাধিক দোকানেও। ঠিক কত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? প্রশাসনের সমীক্ষায় উঠে আসছে কোন তথ্য?

    জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় ২৫০-র উপর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। দোকানঘর ভাঙচুর হয়েছে প্রায় ১০০-র বেশি। জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে যে তালিকা তৈরি হয়েছে, সেখানে এই সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে, পরে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যদিও বেসরকারি সূত্রে এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি বলেই  দাবি করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভা, সামশেরগঞ্জ ব্লকেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।  

    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে গত শনিবার থেকেই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সাধ্যমতো সমস্ত রকমের সাহায্যই করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি সিলিং ফ্যান, টিউব লাইট (৪০ পিসের বাক্স), সুইচ বোর্ড, সুইচ, টর্চের, বালিশ বিছানা-সহ একাধিক জিনিসপত্রও দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আরও কী ভাবে ‘দুর্গত’-দের পাশে দাঁড়ানো যায়, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    এখনও প্রচুর মানুষ ঘরছাড়া হয়ে রয়েছে। মালদার বৈষ্ণবনগরের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার সেই ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সামনেই তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন ঘরছাড়া মানুষজন। সেই ক্যাম্পে ‘বন্দি’ অবস্থায় রয়েছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। যদিও, খুব দ্রুত বাকি ঘরছাড়াদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন। 

  • Link to this news (এই সময়)