নিয়োগ-দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) দফতর অভিযান করল সিপিএমের শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন। তাদের অভিযান ঘিরে উত্তেজনাও ছড়াল বিধাননগরে। বামেদের দাবি, যোগ্যদের তালিকার ব্যাপারে নীরব থেকেছে কমিশন। দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগের দাবিতে লড়াই চলবে বলে জানিয়েছে তারা।
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির (এবিটিএ)-র ডাকা এসএসসি অভিযানে বৃহস্পতিবার শামিল হয়েছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। করুণাময়ী থেকে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় তারা। তৈরি হয় উত্তেজনা। পরে শিক্ষক, যুব ও ছাত্র সংগঠনের ১০ জনের প্রতিনিধিদল কমিশনে যায় দাবি জানাতে। মিছিলে ছিলেন এবিটিএ-র রাজ্য সম্পাদক সুকুমার পাইন, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে ও রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্য্যী প্রমুখ। কমিশনে কথা বলে বেরিয়ে সুকুমার বলেন, “এসএসসি একটি স্বশাসিত সংস্থা। কিন্তু এখন তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে! যা শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা-ই বলছে। বাম আমলে ১৯৯৮ সালে এক লক্ষেরও বেশি নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু এসএসসি দফতরের বাইরে কখনও এমন বিক্ষোভ হতে কেউ দেখেননি।” আর মীনাক্ষীর বক্তব্য, “ওঁরা জানিয়েছেন পরীক্ষা নেবেন, প্যানেল তৈরি করে দেবেন। আমাদের সন্দেহ, আবার সাদা খাতা জমা নেওয়া হবে, আবার লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হবে! আর যে দুর্নীতি হবে না, তা-ও জোর দিয়ে চেয়ারম্যান বলতে পারেননি। চুপ করে ছিলেন।”
শহরে এ দিন পথে নেমেছিল বিজেপির যুব মোর্চাও। ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলায় সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট দেওয়ার পরে তাঁদের গ্রেফতার চেয়ে এ দিন সন্ধ্যায় মুদিয়ালি বাস স্ট্যান্ড থেকে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত মিছিল করেছে যুব মোর্চা। উপস্থিত ছিলেন মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য প্রমুখ। ইন্দ্রনীল বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পত্তি ঘুরপথে যাঁরা পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছেন, তাঁদের গ্রেফতার চাইছি।”