জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জীবনের ৬০ বসন্ত পেরিয়ে অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে দিলীপ ঘোষ। 'এতদিনে বোঝা গেল, ইকো পার্কে কেন বারবার হাঁটতে দিলীপবাবু যেতেন', বললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওঁর ধন্যবাদ জানানো উচিত'।
কুণাল বলেন, 'সকালে উঠে, সূর্যটা ওঠেছে কি ওঠেনি, কী এমন টান যে দিলীপবাবুকে ইকো পার্কেই যেতে হত। আজকে সেটা পরিষ্কার। তার চেয়েও বড় কথা, এই ইকোপার্ক, সেই ইকোপার্ক যেখানে থেকে দিলীপবাবুর প্রেম জন্ম নিল, পরিণয়ের দিকে এগোল। যেটি তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে দিলীপ ঘোষের জীবনে এই যে নতুন সেতুবন্ধন, তাতে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি ইকো পার্ক, এটা যদি তিনি না স্বীকার করেন, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে'।
তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা তো বটেই, দিলীপের বিয়েতে পুষ্পস্তবক ও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কুণাল বলেন, 'দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একেবারে আমাদের আদর্শগত লড়াই। সে তো থাকবে রাজনীতিতে। কিন্তু বিয়ে সেখানে ব্যক্তিগতভাবে শুভেচ্ছা। মুখ্যমন্ত্রীর পর্যন্ত পুষ্পস্তবক, শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে বিরোধী দলনেতার শুভেচ্ছা তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। বিজেপির কয়েকজন নেতাকে দেখলাম সকালে দিলীপবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন। এখনও তো মনে হচ্ছে, দিলীপবাবুর বিয়ে ঘিরেও বিজেপিতে আমরা-ওরা। মুখ্যমন্ত্রীর ফুল পৌঁছে গেল, কিন্তু বিরোধী দলনেতার তো ফুলের তোড়া, শুভেচ্ছা জানালেন, কোনও বিবৃতিতে পৌঁছল না। য়েকে কেন্দ্র করেই বিজেপিতে গোষ্ঠীবাজি চলছে। এবার করবে বিরোধী দল'!