• মামলা তুলতে চাপ! পুলিশের সামনেই নির্যাতিতাকে মারের অভিযোগ ‘নেতা’র সমর্থকদের বিরুদ্ধে
    প্রতিদিন | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • বিক্রম রায়, কোচবিহার: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করে। ঘটনা সামনে আসার পরেই অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি আবদুল মান্নানকে বহিষ্কার করে দল। শুক্রবার সেই ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে গিয়েছিল পুলিশ। তদন্তকারীদের সামনেই নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গ্রেপ্তার হওয়া বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারের দিনহাটার ‌আটিয়াবাড়ি এলাকায়। ওই নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর।

    গত একমাস আগে দিনহাটার ‌আটিয়াবাড়ি দু’নম্বর অঞ্চল সভাপতি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করে। সেই মামলা এখন আদালতে বিচারধীন। আজ শুক্রবার দিনহাটা মহিলা থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্তে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তদন্তকারীরা অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন। ওই অভিযুক্তের অনুগামীরা এদিন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। শুধু তাই নয়, এরপর নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই হামলার ঘটনা তদন্তকারীদের সামনেই হয়েছে বলে খবর।

    এরপর ওই নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে তাঁরা ভর্তি রয়েছেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, ওই অভিযুক্তের অনুগামীরা বারবার হুমকি দিচ্ছে। মামলা না তুলে নিলে বিপদ হবে, এই ভয়ও দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতা। যদিও হামলার অভিযোগ, অস্বীকার করেছেন ধর্ষণে অভিযুক্তের পরিবার। আবদুল মান্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে আজিজুল রহমান বলেন, “যুবতী ও তাঁর মা এদিন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের সামনে মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন। তারাই মারধর করেছেন। উলটো ঘটনা সাজাতে হাসপাতালে তাঁরা ভর্তি হয়ে গিয়েছেন।”

    দিনহাটার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র জানান, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও পুলিশ সেটা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। অভিযোগ এসেছে। সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)