• পণের জন্য চাপ! বিয়ের পর মারধরে কানের পর্দা ফাটল গৃহবধূর, কাঠগড়ায় স্বামী-শাশুড়ি
    প্রতিদিন | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বিয়ের সময় পণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। কনের পরিবার অনেক কষ্টে পাঁচ লক্ষ টাকা জোগাড় করে দিতে পেরেছিল। মেয়ের বাপেরবাড়ির অনেক অনুরোধে বিয়ে হয়। কিন্তু বাকি পাঁচ লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্য ক্রমাগত নববধূর উপর অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নববধূর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। মেরে ওই তরুণীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। নববধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার কালীবাবুর বাজারের চৌধুরিবাগান এলাকায়। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হাওড়ার বাঁকড়ার সলপের বাসিন্দা রাখির সঙ্গে হাওড়ারই কালীবাবুর বাজার এলাকার চৌধুরিবাগানের বাসিন্দা সমীর সাহুর বিয়ে হয়। বিয়েতে পণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল পাত্রের বাড়ির তরফ থেকে। বিয়ের সময় পাঁচলক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। বাকি পাঁচলক্ষ টাকা চেয়ে বধূ নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে হবে। সেই কথা বলে বারবার চাপ দেওয়া হত রাখিকে। এদিকে অত টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না বাপেরবাড়ির লোকজনের। সেই অবস্থায় বধূ নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে সেই অত্যাচার সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

    দিন কয়েক আগে স্বামী, দেওর, শাশুড়ি মিলে ওই তরুণীকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। মারের চোটে তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালসিটে পড়ে গিয়েছে। একদিকের কানেও তিনি শুনতে পাচ্ছিলেন না বলে খবর। মারধরের কথা জানার পরেই বাপেরবাড়ির লোকজন শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁর এক কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আক্রান্ত তরুণীর বাবা, মা ও এক ভাই রয়েছে। দিদি ইন্দুর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা লক্ষ্মণ সাহু পেশায় একজন গাড়ির চালক। এদিন শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানালেন, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী সমীর সাহু পলাতক বলে খবর।
  • Link to this news (প্রতিদিন)