মলয় কুণ্ডু: নয়া ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে ঘটে চলা বিক্ষিপ্ত অশান্তি ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। অশান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার জন্য পদস্থ পুলিশকর্তাদের অতিরিক্ত ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, পুলিশকর্তারা নিজেরাই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করতে পারেন। এই ধারা ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার সমতুল্য। যা জারি করতে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে যাতে কোনও সময় নষ্ট না হয়, তার জন্য ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর তরফে জারি করা নির্দেশিকায় ডিজি, এডিজি, আইজি, ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারদের এই ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন।
এলাকায় বড় ধরনের কোনও গোলমাল হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বা নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সমাবেশ, মিছিলের মতো কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয় ১৬৩ ধারায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে সময় বাঁচাতেই পুলিশকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েকদিনে ওয়াকফ প্রতিবাদে অশান্তির আবহে মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো দু-একটি জায়গায় তেমনই পরিস্থিতি হয়েছিল, যাতে পুলিশ প্রশাসনকে ১৬৩ ধারা প্রয়োগ করতে হয়। তা লাগু ছিল ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
বর্তমানে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রশাসনের শীর্ষ মহল মনে করছে, এখন আর কোথাও ১৬৩ ধারা লাগুর প্রয়োজন নেই। কারণ অশান্ত এলাকাগুলিতে কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে না। তাই পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হল। সেক্ষেত্রে এখন থেকে পরিস্থিতি সামলাতে কোথাও ১৬৩ ধারা জারি করতে হলে পুলিশকে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির জন্য।