দিলীপ ঘোষের বাংলো বিতর্কের পরে কড়া পদক্ষেপ রেলের? এ বার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে রেলের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা পার্টি অফিসগুলি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল খড়্গপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, খড়্গপুর রেলওয়ে কলোনী এলাকায় তৃণমূলের ২১টি, বিজেপির ১২টি, সিপিআইএমের ১টি এবং, কংগ্রেসের ২টি পার্টি অফিস আছে। রেলের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ১৭ এপ্রিল খড়্গপুর রেলওয়ে প্রশাসন রেলওয়ে কলোনি এলাকার রেলওয়ে জমির দখল অপসারণের লক্ষ্যে একটি নোটিস জারি করে।
সকল জেলা ইনচার্জদের ১৫ দিনের মধ্যে রেলওয়ে এলাকা থেকে এই সমস্ত অনুমোদনহীন অফিস অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় খড়্গপুর রেলওয়ে প্রশাসন ১৯৮৯ সালের আইআর আইন, ১৯৭১ সালের পিপিই আইন এবং আইআরডব্লিউএম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, খড়্গপুর সাউথ সাইড এলাকায় রেলের ‘৬৭৭ নম্বর’ বাংলো নিয়ে তৃণমূল তথ্য জানার আইনে আবেদন করে। রেল জানায়, রেলের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের জন্য ওই বাংলো বরাদ্দ হয়। তবে, ২০২০ সালের মার্চ মাসেই সেই মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। রেলের তরফে প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষকে নোটিশ জারি করা হয়। যদিও ২০১৭ সাল থেকেই খড়্গপুর শহরে এলে ওই বাংলোতেই থাকেন বিজেপি প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার এই বিষয়ে খড়্গপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘খড়্গপুর শহরে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস আছে। এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে বিজেপি। তৃণমূল তো রেলের বাংলো দখল করেনি! পুরসভা এলাকা হওয়ায় সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য অফিস তৈরি করতে হয়েছে।’
বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সমিত মণ্ডল বলেন, ‘রেলের নির্দেশ মেনে চলা হবে। তবে যেহেতু তৃণমূলের সব থেকে বেশি পার্টি অফিস রয়েছে, তাই ওরা আগে শুরু করলে, আমরা আমাদের পার্টি অফিসগুলি খালি করে দেব।’