• ইসলামপুরে ব্যবসায়ীকে মারধর করে দুই লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই
    বর্তমান | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুরের গুঞ্জরিয়ায় এক ব্যবসায়ীর ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ গুঞ্জরিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের সময় দুষ্কৃতীদের বেধড়ক মারে জখম হয়েছেন ব্যবসায়ী মহম্মদ সুলেমান। তিনি বর্তমানে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিহার লাগোয়া গুঞ্জরিয়াতে এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। ফের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

    জখম ব্যবসায়ী মহম্মদ সুলেমান বলেন,আমি ধান ও পাটের ব্যবসা করি। সন্ধ্যায় গুঞ্জরিয়া বাজার থেকে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় চার দুষ্কৃতী আমাকে ঘিরে ধরে। তাদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। আমাকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়। আমার কাছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ছিল। দুষ্কৃতীরা টাকার ব্যাগও ছিনিয়ে নেয়। গুঞ্জরিয়া পশ্চিম বস্তি সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য মহসীন আলম বলেন, এই ঘটনায় এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত। 

    গুঞ্জরিয়া যেহেতু বিহার লাগোয়া, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ছিনতাইয়ের ঘটনায় কি বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগ আছে? কারণ এর আগে একাধিক অপরাধমূলক কাজে ওই রাজ্যের দুষ্কৃতীদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। এপ্রসঙ্গে মহসীন সাহেব বলেন, পরিষ্কার করে কিছু বলাও যাচ্ছে না। পুলিসের তদন্তে গোটা বিষয় পরিষ্কার হবে। গুঞ্জরিয়া সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মনজুর বলেন, এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। স্থানীয় মাদকাসক্তরাই এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সম্প্রতি এলাকায় মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকায় ছোটখাট চুরির ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটছে। নেশার খরচ জোগাড় করার জন্য তারা এসব করছে। পুলিস তদন্ত করছে। তাতেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কয়েক বছর আগে একটি খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। সেসময় বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। যাতে ব্যবসায়ীরা সংগঠিত থাকেন এবং সমস্যা হলে প্রশাসনের মাধ্যমে তার সমাধান করতে পারেন। তবে এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে আছেন। গুঞ্জরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আনজার আলম ওরফে গফুর বলেন, এখানে ব্যবসায়ীরা সুরক্ষিত নন। মাঝেমধ্যেই চুরি, ছিনতাই হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা ব্যবসা করবেন কীভাবে? এখানে একটি পুলিস ক্যাম্প করা উচিত।

    ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার থেন্ডুপ শেরপা বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগ হয়েছে। মামলা করা হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমস্ত  দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)