• উমাচরণপুরের ভুট্টা ও টম্যাটো খেত তছনছ করল হাতির পাল
    বর্তমান | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ফালাকাটা: জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ফালাকাটা ব্লকের শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতর উমাচরণপুর গ্রামে। কয়েক বিঘা জমির ভুট্টা ও টম্যাটো খেত তছনছ করেছে। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে ফালাকাটা ব্লকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় জঙ্গল থেকে ১৭টি হাতির একটি দল উমাচরণপুরে চলে আসে। বনকর্মীরা রাতেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ন’টি হাতিকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। তবে বাকি আটটি হাতির তাণ্ডবের প্রায় পাঁচ বিঘা ভুট্টা খেত ও এক বিঘা টম্যাটো খেতের পুরোটাই সাফ হয়ে গিয়েছে। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। 

    কৃষক ভাউকা ওরাওঁ বলেন, বুধবারের পর বৃহস্পতিবার রাতেও গ্রামে হাতির পাল আসে। তাণ্ডব চালিয়ে আমার চার বিঘা ভুট্টা খেত মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। ঋণ নিয়ে চাষ করেছি। এখন বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছি। ৩০-৩৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মেহতাব হোসেন, রফিকুল মুন্সি, জহির উদ্দিন মিয়াঁ বলেন, হাতির দলটি খেতে ঢুকে ভুট্টা খাওয়ার পাশাপাশি কয়েকশো ভুট্টা গাছ নষ্ট করে দিয়েছে। বনদপ্তরকে জানাব। 

    আর এক কৃষক আলিয়ার রহমান বলেন, ভুট্টা খেতের পাশেই আমার প্রায় এক বিঘা  টম্যাটো খেত ছিল। হাতির দলটি টম্যাটো খেতও তছনছ করেছে। এ বছর বর্ষা শুরুর আগে লোকালয়ে হাতির দল চলে আসায় আমরা আতঙ্কিত। বনকর্মীরা যাতে নিয়মিত টহল দেন সেই দাবি বন বিভাগে জানানো হবে।

    এ বিষয়ে মাদারহাটের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, কৃষকরা নিয়ম মেনে আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। রাতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আমাদের কর্মীরা হাতি তাড়াতে ময়দানে নেমেছিলেন। প্রথম দফায় কিছু হাতিকে এবং পরবর্তীতে বাকি সবক’টি হাতিকেই জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)