অভিষেক পাল, বহরমপুর: স্বাভাবিক হচ্ছে সামশেরগঞ্জ। শুক্রবারও প্রতিটি পাড়া ও গলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিসের কড়া টহলদারি ছিল। পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
গত শুক্র ও শনিবারের হিংসার পর নতুন করে অশান্তি না হলেও মানুষ এখনও আতঙ্কিত। যাঁরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তাঁরা ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছেন। জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের আশ্বস্ত করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছেন সাংসদ, বিধায়ক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। সেই দলে তৃণমূল ছাড়াও সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির প্রতিনিধিরা রয়েছেন। প্রায় একসপ্তাহ পর সামসেরগঞ্জে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলো।
শুক্রবার শুলিতলা গ্রামে ঘোরেন ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই গ্রামে ৬০ শতাংশ বাড়ি পুরুষশূন্য। বিএসএফের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। মানুষকে আশ্বস্ত করতে এসেছি। পুলিস সিসি ক্যামেরা দেখছে। যারা হিংসায় জড়িত ছিল, তারা ছাড়া আর কেউ শাস্তি পাবে না। জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছেও দোকানপাট খোলার আবেদন জানাচ্ছি। এদিন সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে আরও দোকান খুলেছে। ধুলিয়ান শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক কচুরি বিক্রেতা বলেন, আমার ঠেলাগাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। এখন টেবিল পেতে কচুরি বিক্রি করছি। আমরা চাই, সবকিছু স্বাভাবিক হোক। এদিকে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় ১২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জঙ্গিপুরের পুলিস সুপার আনন্দ রায়। তিনি বলেন, নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ত্রাণ শিবিরে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। নিজস্ব চিত্র