কাটোয়া মহকুমার কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, এখনও পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে তাতে খুব একটা ক্ষতি হবে না। তবে জমিতে যে জল জমেছে তা দ্রুত নেমে গেলে ভালো। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া, পূর্বস্থলী ও আউশগ্রামের একটা বড় অংশের চাষি সব্জি চাষের দিকেই ঝোঁকেন। পূর্বস্থলী ও আউশগ্রামে সবথেকে বেশি সব্জি চাষ হয়। নিম্নচাপের জেরে জমির দাঁড়ায় জল জমেছে। আর তাতে শশা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঝিঙে, পটল, লঙ্কার চাষিরা বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। কাটোয়ার গোয়াই গ্রামের সব্জি চাষি মিলন পাল, রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, আমাদের ঝিঙের জমিতে টানা দু’ দিন ধরে জল জমেছিল। শুক্রবারের বৃষ্টিতে আবার জল জমে গিয়েছে। লঙ্কার জমিতে জল জমেছে। তিলের চারা গাছ পচে যাবে যা বৃষ্টি হয়েছে। জলে শশা ডুবে ছিল। আউশগ্রাম-২ ব্লকের রামনগর পঞ্চায়েতের হরিনাথপুর এলাকায় অজয়ের বাঁধের নীচে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে সব্জি চাষ করেন এলাকার চাষিরা। এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণমোহন ভৌমিক, নিরোদ রায়, সুরেন মণ্ডল বলেন, আমরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সব্জি চাষ করেছিলাম। আবহাওয়ার জন্য গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। পটল, তিলের জমিতে জল জমে আছে। এদিকে পূর্বস্থলী-২ ব্লকের হাঁপানিয়া, খড়দত্তপাড়া, পাটুলি এলাকার চাষিরা সদ্য লঙ্কা বুনেছিলেন। খড়দত্তপাড়ার চাষি মিনহাজউদ্দিন শেখ বলেন, সদ্য লঙ্কার বীজ পুঁতেছিলাম। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে সব শেষ হয়ে যাবে। জেলার এক কৃষি আধিকারিক জানান, কতটা জল জমেছে সেটা আগে দেখতে হবে। অন্যদিকে কাটোয়া মহকুমার বেশির ভাগ জায়গাতেই ধানে পাক ধরেছে। ধান গাছের শীষ ভারী হয়ে গিয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ায় সেই ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। কেতুগ্রাম, কাটোয়া এলাকার চাষি নিতাই বৈরাগ্য, মধুবন ঘোষ বলেন, নিম্নচাপের জেরে ধান জমিতে জল জমেছে। গাছের মাথার দিক ভারী হয়ে গিয়েছে। তার উপর বৃষ্টির জল জমে গাছের তলার দিক আলগা হয়ে রয়েছে। ফলে এরই মধ্যে অনেক জমিতে ধানগাছ শুয়ে পড়ছে। ভালোই ক্ষতি হবে ধানের। -নিজস্ব চিত্র