• ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখায় বাংলায় বজ্রবিদ্যুতের আবহ
    এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়: একটি নয়, বাংলার খুব কাছে একসঙ্গে একজোড়া ওয়েদার সিস্টেম তৈরি হওয়ায় বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে চলেছে বাংলার বায়ুমণ্ডলে। জোড়া সিস্টেমের প্রভাবেই বৃহস্পতিবার থেকে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় এবং অন্য অনেক জেলায় বয়ে চলেছে দমকা হাওয়া। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও। শুক্রবার বিকেলে আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে সেই জোড়া সিস্টেম এখনও সক্রিয় রয়েছে। দুই সিস্টেমের একটি হলো বাংলাদেশের উত্তর প্রান্তে তৈরি হওয়া একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং অন্যটি হলো ঝাড়খণ্ড থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এদের প্রভাবেই আজ শনিবারও বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শনিবার রাজ্যের উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাবে। একই সঙ্গে এই ছাড় জেলায় ৭-১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি। হাওয়া অফিস থেকে এই চার জেলায় জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি চারটি জেলাতেও দমকা হাওয়া এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।

    আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেও। দক্ষিণের ১৫টি জেলার মধ্যে নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও দমকা হওয়ার হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।

    আবহবিদরা জানিয়েছেন, জোড়া ওয়েদার সিস্টেমের সক্রিয়তার জন্যই শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় রোদ নিস্তেজ। মাঝে মাঝেই বয়ে যাচ্ছে জোরালো হাওয়া। আকাশ দেখে মনে হয়েছে যে কোনও সময়েই বৃষ্টি নামতে পারে। শুক্রবার দুপুর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি নামার খবরও এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যে ভাবে টানা দমকা হাওয়ার দাপট এবং তার সঙ্গে বৃষ্টির পর্ব চলেছে, তার দৌলতে বাংলার কোনও জেলারই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর পার করেনি। বাং‍লা অবশ্যই চাইবে বৃষ্টির আবহ আরও কয়েকদিন জারি থাকুক। যতদিন এমন থাকবে, বৈশাখের তাপপ্রবাহ আসতে তত বেশি দেরি হবে। স্বস্তিতে থাকবে গোটা দেশ।

  • Link to this news (এই সময়)