সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: গ্রামের ছেলে নাড়ুর বিয়ে। কিন্তু এখানে তো সানাই বাজছে না। আলোর রোশনাইও নেই। কিন্তু আশায় বুক বেঁধে গাঁয়ের মানুষ, পড়শিরা, নিশ্চয় বউমাকে নিয়ে পাত্র আসবে গ্রামে। পাত পেড়ে হবে ভোজও। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের অখ্যাত গ্রাম কুলিয়ানায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, প্রাক্তন সংসদ দিলীপ ঘোষের জন্মভিটা। সেখানেই থাকেন মা এবং ভাইরা। দিলীপবাবুর আকস্মিক বিয়ের খবরে এখানকার মানুষ প্রথমে একটু অবাক হলেও পরে বেশ খুশি।
ছোট্ট থেকে খেলাধূলা প্রিয় দিলীপের পাড়ার লোকেরাও তাঁকে ঘিরে গর্ববোধ করেন। দলীয় কর্মসূচি, মিটিং, মিছিলে ঝাড়গ্রামে এলে একবার হলেও গ্রামের বাড়িতে ঘুরে যান। মা এবং ভাইদের সাথে সময় কাটান। গ্রামের লোকজনের মুখে মুখে শুক্রবার দিনভর তাঁর বিয়ে নিয়ে নানা চর্চা। এখন তাঁরা আশায় আছেন বিয়ের আচার অনুষ্ঠান মেটার পর নিশ্চয়ই গ্রামে একটা মহাভোজের আয়োজন হবে। গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ মহাপাত্র বলেন, “দিলীপবাবু জাতীয় স্তরের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিয়ের খবরে স্বভাবতই প্রাথমিকভাবে লোকজন একটু অবাক হয়েছে। কিন্তু যাঁরা তাঁকে ভালোবাসেন, জানেন, তাঁরা বিয়ের খবরে খুশি হয়েছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এত বড় একটা খবর তাই গ্রামে একটা ভোজের অনুষ্ঠান হবে সেটা অনেকেই আশা করছেন।”
যদিও অন্যদিকে কুলিয়ানা গ্রামে দিলীপবাবুর বাড়িতে এদিন তেমন একটা উৎসাহের পরিবেশ দেখা যায়নি। দিলীপবাবুর ছোট ভাই হীরক ঘোষ জানিয়েছেন, “বিয়ে নিয়ে দাদা আমাদের কিছু বলেননি। বিয়েতে পরিবারের কেউ যায়নি। মা আগে থেকেই ওখানে আছেন চিকিৎসার জন্য।” বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য, এই জেলার বাসিন্দা অবনী ঘোষ বলেন, “ওঁর মায়ের ইচ্ছে ছিল ছেলে থিতু হোন। দেরিতে হলেও মায়ের ইচ্ছেপুরণ হল। শুভেচ্ছা জানাই দাম্পত্য জীবন তাঁর যাতে সুখের হয়। তবে আমরা আশাবাদী আগামী দিনেও তিনি সংগঠনের হয়ে কাজ করবেন।” ঝাড়গ্রামের বিজেপি নেতা চিকিৎসক প্রণত টুডু বলেন, “এটা ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তবে আমরা সকলে খুবই খুশি। উনি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ওঁকে শুভেচ্ছা জানাই।”