‘এই দেখুন, এখানে রান্না করতাম। সব পুড়িয়ে দিয়েছে।’ মহিলা কমিশনের সামনে ডুকরে কান্না মহিলার। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। ঘরবাড়ি, দোকানপাট ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বাদ যায়নি কিছুই। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার ধুলিয়ান পৌঁছন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে।
শুক্রবার প্রথমে বহরমপুরে যান মহিলা কমিশনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে তাঁরা যান মালদায়। অনেকেই হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাশের জেলায়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর শনিবার কমিশনের প্রতিনিধি দল যান মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে। কমিশনের সদস্যদের দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
জাফরাবাদ, বেতবুনিয়া, রানিপুরের অধিকাংশ বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রোহতকার সেই সব বাড়িতে যান। ভিতরে ঢুকে দেখেন। তাঁকে দেখে এগিয়ে আসেন এক বৃদ্ধা। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ, কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। সে সবও নিয়ে চলে গিয়েছে।’ পাশ থেকে একজন বলে ওঠেন, ‘আমারও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করেছে।’
মহিলা কমিশনের সদস্যদের দেখে প্ল্য়াকার্ড, পোস্টার হাতে জড়ো হন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, ‘গ্রামে বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প চাই। না হলে সমস্যার সমাধান হবে না।’ জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনের বিচারের দাবিও তোলেন তাঁরা। এলাকা ঘুরে দেখে কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া বলেন, ‘পরিস্থিতি গুরুতর।’ দিল্লি ফিরে কমিশন এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে বলে জানা গিয়েছে।