বাবুল হক, মালদহ: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মালদহ সফরের মাঝেই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের বৈষ্ণবনগরে। জানা গিয়েছে, ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জলরাহী সিসা এলাকায় শুক্রবার বিকালে একটি আখ খেতে সন্দেহজনক প্লাস্টিকের বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ পৌঁছে বস্তা থেকে ১৭ টি কৌটো বোমা উদ্ধার করে। ঘিরে রাখা হয় এলাকাটি। উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে বৈষ্ণবনগরেরই শরণার্থী শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল।
বোমা উদ্ধারের খবর চাউড় হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকালে বোম স্কোয়াড পৌঁছে তাজা বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। উপস্থিত ছিলেন দমকল বাহিনীর আধিকারিকরাও। এদিকে বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না হয় সেজন্য পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়। মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী। তবে কোথা থেকে এতগুলি বোমা ওই এলাকায় এল? কে বা কারা সেগুলি এই এলাকায় রেখে দিয়ে গেল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে অনেকেই মালদহের বৈষ্ণবনগরে আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই আবহেই মালদহের বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার বোমা উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে মালদহের কালিয়াচক থানার বীরনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু আহত হয়। একটি পরিতক্ত বাড়িতে খেলার সময় বল ভেবে পড়ে থাকা বোমায় হাত দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার বোমা উদ্ধার হল মালদহে।