রাজা দাস, বালুরঘাট: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির আঁচ এবার বালুরঘাটে। শনিবার দুপুরে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন জেলার বহু বিজেপি কর্মী, সমর্থক। তাঁরা জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে পৌঁছতেই পুলিশ ‘হাই সিকিওরিটি জোন’ বলে বাধা দেয়। ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ আটকালে সেখানেই কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যে একেবারে চরম উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে রইল বালুরঘাটের জেলাশাসক দপ্তর।
রাজ্যে ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরিহারা এবং মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির মতো ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বালুরঘাট শহরে মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মহকুমা শাসকের দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি ছিল তাঁদের। এই দপ্তরটি জেলাশাসকের কার্যালয়ে চত্বরেই। বিজেপির এই কর্মসূচি ঘিরে আগাম নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁটও করা হয় এমন হাই সিকিউরিটি জোনে। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ বালুরঘাটের মাদার টেরেসা মোড় থেকে বিজেপির মিছিল বের হয়। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার, জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। গোটা শহর ঘুরে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে তা পৌঁছতেই পুলিশ মিছিল আটকায়। অভিযোগ, কয়েকজন বিজেপি কর্মী বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন। তাঁদের রুখতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে সাময়িকভাবে।
এরপরই পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপি নেতারা এগিয়ে এসে মহকুমা শাসকের দপ্তর ঘেরাওয়ের জন্য জেলাশাসকের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। তাতে বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক জখম হন বলে দাবি দলের। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ”আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। চাকরিহারা এবং মুর্শিদাবাদের ওয়াকফ অশান্তির প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিছিল আটকে অশান্তি তৈরি করেছে। তবে আমরা মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি জমা দেবই।”