শাশুড়ি মায়ের সেবা, আত্মীয়দের সঙ্গে গল্পগুজব, বিয়ের পর কেমন কাটছে দিলীপ ঘরনির?
প্রতিদিন | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একষট্টিতে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বঙ্গ রাজনীতির ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ নেতা দিলীপ ঘোষ। ১৭ এপ্রিল, শুক্রবার সন্ধ্যায় চার বছরের প্রণয়ীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষ সদাব্যস্ত মানুষ। তাই বিয়ের পরদিনই দলের কাজের জন্য চলে গিয়েছেন খড়গপুরে। ফিরবেন একদিন পর। ততক্ষণ নবপরিণীতা রিঙ্কু মজুমদার থাকবেন তাঁর নিউটাউনের বাড়িতে, মা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে। বিয়ের পরদিন স্বামীকে ছাড়া শ্বশুরবাড়িতে কেমন সময় কাটছে তাঁর, তারই হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করল ‘সংবাদ প্রতিদিন’।
বিয়ে হয়েছে বলে প্রাত্যহিক রুটিনের কোনও বদল হয়নি দিলীপ ঘোষের। রোজকার মতো শনিবারও ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছেন তিনি। এই ইকো পার্ক থেকেই তাঁর জীবনের বসন্ত এসেছিল। ভোরে একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতেই ২০২১ সালে রিঙ্কুদেবীর প্রেমে পড়া। চার বছর পর মায়ের অনুরোধ-উপরোধে বিয়ের সিদ্ধান্ত এবং সবশেষে ২০২৫ সালের এপ্রিলে চার হাত এক হওয়া। নিঃসন্দেহে তাঁর জীবনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ইকো পার্কের। তাই বিয়ের পরদিনও দিলীপ গেলেন মর্নিং ওয়াকে। আজ আর দেখা গেল না রিঙ্কুদেবীকে।
শনিবার বেলার দিকে দিলীপ চলে যাবেন খড়গপুরে, ফিরবেন রবিবার রাতে। কিন্তু এ যাত্রায় তাঁর সঙ্গী হচ্ছেন না নতুন বউ। তিনি রয়েছেন নিউটাউনের বাড়িতেই। নববধূর আর কোনও সামাজিক রীতি পালন বাকি নেই। তাই সে অর্থে আজকের দিনটায় একেবারে ‘ফ্রি’ রিঙ্কু মজুমদার। জানা গেল, শাশুড়ি মা পুষ্পলতার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন বছর একান্নর রিঙ্কু। তাঁর সেবা-শুশ্রূষা করছেন। এছাড়া বাড়িতে এখনও বেশ কয়েকজন আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন তাঁদের সঙ্গেও গল্পগুজব করছেন। নতুন বউকে এখনই রান্নাঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দিলীপ ঘোষের বাড়ির রাঁধুনি অজয়ই আজ রান্না করছেন বাড়ির সকলের জন্য। দুপুরের মেনুতে মাছ-ভাত থাকছে বলেই খবর। সবমিলিয়ে হেসেখেলে আনন্দ শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিনটি কাটছে রিঙ্কুদেবীর।
কবে যাবেন গ্রামের বাড়ি? ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে দিলীপবাবু জানালেন, এখনই নয়। তবে খুব শিগগিরই মা ও স্ত্রীকে নিয় ঝাড়গ্রামের বাড়িতে। সেখানকার কুলিয়ানা গ্রামেই দিলীপ ঘোষের আদি ভিটে। যেতে পারেন আগামী সপ্তাহে।