• ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে এবার পথে বঙ্গ বিজেপি
    প্রতিদিন | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ওয়াকফ সংশোধনী আইন ঘিরে রাজ্যের একাংশে অশান্তি চলছেই। বস্তুত সংখ্যালঘুদের সিংহভাগই মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে অখুশি। এই আবহে এই আইনের ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরতে রাজ্যজুড়ে পথে নামতে চলেছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেই সংখ্যালঘুদের ওয়াকফ বোঝাতে আসরে নামছে বিজেপি।

    বিজেপির দাবি, তুষ্টিকরণের লক্ষ্যে মুসলিমদের ভুল বোঝাচ্ছেন বিরোধীরা। ওই আইন পসমন্দা মুসলিমদের উন্নয়ন ও বিশেষ করে মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার যে অভিযোগ উঠেছে, তা-ও মানতে নারাজ বিজেপি। পুরো বিষয়টি সাধারণ সংখ্যালঘুদের গোচরে আনতে চায় বিজেপি। সেই লক্ষ্যে ওয়াকফ নিয়ে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় এবং বিভিন্ন সংখ্যালঘু প্রধান এলাকা ধরে ধরে ইনডোরে সমাবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওয়াকফের সুফল বোঝাতে কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপি ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গড়েছে। জেপি নাড্ডার নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি দ্রুত বঙ্গে আসবে। সেই কমিটিই বঙ্গের সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রণকৌশল ঠিক করবে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি চার্লস নন্দী জানিয়েছেন, ওয়াকফ নিয়ে মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে গরিব মুসলমানদের সচেতন করার চেষ্টা করবে বিজেপি। দরকারে ছোট ছোট ইনডোর সমাবেশও হবে।

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের এ বিষয় অবহিত করা এবং ওয়াকফের পক্ষে বাতাবরণ তৈরি করা সংখ্যালঘু মোর্চার দায়িত্ব। মজার কথা বল, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার প্রকাশ্যেই স্রেফ সনাতনী ভোটারদের একত্রিত করার কথা বলছেন। এমনকী বিজেপির মুসলমান ভোটের প্রয়োজন নেই, বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দুকে। সেই শুভেন্দুর দলই সংখ্যালঘুদের মনজয়ে আসরে নামছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি চার্লস নন্দী বলছেন, “ওয়াকফ নিয়ে রাজ্যের মুসলমানদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যপাধ্যায় যেভাবে সিএএ নিয়ে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করেছিলেন, সেভাবেই ওয়াকফ আইনকেও ভোটের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন। কিন্তু আমরা মানুষকে বোঝাব এই ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে প্রান্তিক, গরিব মুসলমান বা মুসলিম মহিলাদের কোনও উপকার হয়নি। মুষ্টিমেয় কিছু নেতা সুবিধা পাচ্ছেন। সেটা বদলাতেই এই আইন।”

    সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তফসিলি জাতি-উপজাতিদের সমর্থন টানতেও বড়সড় পদক্ষেপ করছে গেরুয়া শিবির। সমস্ত সাংগঠনিক জেলায় এসসি এবং এসটিদের সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। কৃতি যারা এবং বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত যারা তাদেরকে এক ছাদের তলায় এনে তফশিলিদের জন্য মোদি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তফশিলি মোর্চাকে। রাজ্যের তৃণমূল পরিচালিত সরকার ক্রমশ তফশিলি জাতি উপজাতিদের স্বার্থ বিঘ্নিত করছে, সেই মর্মে প্রচার চালানোর কৌশল নেওয়া হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)