• কালো ব্যাজ পরে স্কুলে এলেন ‘চাকরিহারা’ শিক্ষকরা, ক্লাস নিলেন না, আগামীতে কী পদক্ষেপ?
    এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা অযোগ্য বলে চিহ্নিত নন, তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। নিতে পারবেন ক্লাসও। সেই মতো স্কুলে এলেন বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলের শিক্ষকরা। তবে ক্লাস নেননি। কালো ব্যাজ পরেছিলেন। কালো ব্যাজে লেখা, ‘জাস্টিস ফর আনটেন্টেড টিচারস্ অ্যান্ড নন টিচিং স্টাফ অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’। তবে সিউড়ির যদুরায় হাইস্কুলের শিক্ষকরা এ দিন ক্লাস নিয়েছেন।

    বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলের ১৫৫ জন শিক্ষক চাকরি হারান। তারপরই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর, এ দিন ফের স্কুলে যান ৮ শিক্ষক। শিক্ষক অরিন্দম সিংহ বলেন, ‘কারা অযোগ্য, আদালতের রায়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোর্টের অর্ডারে আমরা স্কুলে আসছি, যারা টেন্টেড তাঁদের স্কুলে আসা নিষেধ। তাঁদের ১২% হারে বেতন ফেরত দিতে বলেছে। তার মানে আমরা যোগ্য তালিকায় এসে গিয়েছি। কিন্তু যতক্ষণ না অযোগ্যদের বহিস্কার করা হচ্ছে,ততক্ষণ আমরা ক্লাস করব না।’

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশাল তিওয়ারি বলেন, ‘আমাদের স্কুলে ১৫ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে আজ ৮ জন এসেছেন। বাকি সাত জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তাঁরা আসবেন কি না ঠিক নেই। যাঁরা এসেছেন তাঁরা রেজিস্টার খাতায় সই করেছেন। তবে মন থেকে খুশি নন।’

    সিউড়ির যদুরায় হাইস্কুলের ছবিটা একটু আলাদা। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে শিক্ষকরা স্কুলে এসেছেন, ক্লাসও নিয়েছেন। তবে প্রধান শিক্ষকের কাছে স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন তাঁরা। শিক্ষক মহেন্দ্র পাল বলেন, ‘আজ আমরা স্কুলে এসেছি। রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেছি, ক্লাসও নিচ্ছি। যেহেতু আমাদের কাছে কোন টার্মিনেশন এবং জয়েনিংয়ের নির্দেশিকা আসেনি, তাই হিসেব মতো আমরা যেমন ছিলাম তেমনই আছি। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্কুলে ফিরেছি ঠিকই, কিন্তু নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটা স্থায়ী সমাধানের আশায় রইলাম। এই দাবির কথা প্রধান শিক্ষককেও জানিয়েছি।’

    এ দিকে ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশ, যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ-সহ একগুচ্ছ দাবিতে বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে মিছিল করলেন 'যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী অধিকার মঞ্চ-২০১৬'। এ দিন সই সংগ্রহ কর্মসূচীও করেন তাঁরা। বারাসতের কাছাড়ি ময়দানেও মিছিল করেন চাকরিহারারা।

  • Link to this news (এই সময়)