স্কুলে এই মুহূর্তে গ্রুপ ডি কর্মী নেই। অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার পক্ষেও রোজ আগেভাগে স্কুলে আসা সম্ভব হয় না বলে গ্রুপ ডি কর্মীর প্রাথমিক দায়িত্বটুকু আপাতত ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়ার ছোট্ট কাঁধে ন্যস্ত করা হয়েছে। আমতা পশ্চিম চক্রের ভাতেঘরী নিউ সেট আপার প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার দায়িত্ব পালন করছে সে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, তিনিই নিয়মিত স্কুলের দরজা খোলেন। তিনি আসেন বেলঘরিয়া থেকে। আমতা থেকে অনেকটা দূর, প্রায়ই জ্যামে পড়তে হয়। সে কারণে আরেকটি চাবি স্থানীয় এক ছাত্রের কাছে থাকে। প্রয়োজন হলে সে গেট খোলে।
হাওড়ার আমতা পশ্চিম চক্রের ভাতেঘরী নিউ সেট আপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শতাধিক পড়ুয়া পড়াশোনা করে। অভিযোগ, বিদ্যালয়ের একটি চাবি প্রধান শিক্ষিকার কাছে থাকলেও তিনি দূর থেকে আসায় স্থানীয় বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র বিদ্যালয়ের চাবি দিয়ে বিদ্যালয় খোলার দায়িত্ব পালন করে। শনিবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিট নাগাদ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, পাশেই থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট খোলা থাকলেও আপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ।
বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পড়ুয়ারা। দূরে রাস্তার পাশের একটি দোকানে বসে এক শিক্ষক। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির আরও একজন শিক্ষিকা। যদিও গেট তালা বন্ধ থাকায় তিনিও বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। এর পর সকাল ১০টা ৫৬ নাগাদ ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্র হন্তদন্ত হয়ে চাবি নিয়ে এসে তালা খুললে সকলে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে এবং বিদ্যালয় শুরু হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবির সঙ্গে যদিও ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রের দাবি মেলেনি। সে জানায়, সে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের চাবি খোলে। যে দিন আসতে পারে না, অন্য কেউ এসে চাবি খোলে। এই বিষয়ে হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা চেয়ারম্যান কৃষ্ণকিশোর ঘোষ জানান, অনেক আপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি কর্মী নেই। শিক্ষক শিক্ষিকার সাড়ে ১০টার মধ্যে বিদ্যালয়ে আসলে, এই সমস্যা হবে না। তবে বিদ্যালয়ের চাবি খোলার দায়িত্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিতে হবে। ওই বিদ্যালয়ে কী হয়েছে সেই ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আমতা-২ ব্লকের বিডিও পিন্টু ঘরামি জানান বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন।