অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: রাতদুপুরে ক্যাম্পাসে হাতির হানা! গোটা হস্টেল চত্বরে কার্যত দাপিয়ে বেড়াল গজরাজ। যার জেরে তটস্থ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকা পড়ুয়া, অধ্যাপকরা। শনিবার সকাল পর্যন্তও হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো যায়নি। ফলে আতঙ্ক আরও বেড়েছে আবাসিকদের। মত্ত গজরাজের তাণ্ডব থেকে ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত করতে খবর পাঠানো হয়েছে মাটিগাড়া থানা এবং বাগডোগরা বনবিভাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, বনবিভাগ এবং সুকনা এলিফ্যান্ট স্কোয়াড। কিন্তু গজরাজ অধরা! বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে গাছপালার আড়ালে সে লুকিয়ে রয়েছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ও বনবিভাগের। সন্ধ্যা নামলে জঙ্গলে পাঠানোর জন্য ফের চেষ্টা হবে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অতিথিশালার সামনে প্রথমে হাতিটিকে দেখেন নিরাপত্তাকর্মীরা। সুরক্ষার স্বার্থে সকলকে হস্টেলের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। রাতভর ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটাছুটি করে বেড়িয়েছে হাতি। যার জেরে আবাসিকরা আতঙ্কিত। শনিবার সকাল থেকে আবার ক্যাম্পাসে হাতি দেখতে অত্যুৎসাহী জনতার ভিড়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রী বা অধ্যাপকদের আনাগোনা ছিল না। তবে চত্বরে থাকা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ছিল খোলা। স্কুল চত্বরে হাতির অবস্থান, তাই ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নোটিস জারি করে সমস্ত দোকানপাট এবং সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবারের মধ্যে হাতিটিকে ক্যাম্পাসছাড়া না করতে পারলে আগামী সপ্তাহে ক্লাস চালানো সমস্যার হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
বনদপ্তরের অনুমান, বাগডোগরা লাগোয়া জঙ্গল থেকে হাতিটি এসেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের চা বাগান লাগোয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। রাতভর ক্যাম্পাসে দাপট দেখালেও হাতির হানায় এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। বনকর্মীরা এলাকায় রয়েছেন। তাঁরা হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। মহানন্দা অভয়ারণ্যে তাকে পাঠানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের ওই এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না সুরক্ষার স্বার্থে।