লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের গত ২১ মার্চ পর খড়্গপুরে রাস্তা উদ্বোধনে গিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন মহিলা তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে। প্রীতি-বৈশাখীদের সঙ্গে বচসার সেই সংবাদ উঠে এসেছিল শিরোনামে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিয়ের খবর শুনে অবশ্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তাঁরা। শনিবার খড়্গপুরে গিয়ে দিলীপের পাল্টা চাঁচাছোলা জবাব, ‘আমি শুভেচ্ছা চেয়েছি?’
শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরে পৌঁছেই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েননি বিজেপি-র দাবাং নেতা। বিয়ের পরেই নববধূ জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষকে পুরোনো ‘মেজাজে’ দেখতে চান। শনিবারই ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ মেজাজেই ধরা দিয়েছেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ। তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়া সেই মহিলা তৃণমূল কর্মীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শুনে দিলীপ বললেন, ‘তাতে কি যায় আসে! আমি চেয়েছি ওঁদের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা? ওদের শুভেচ্ছায় কিচ্ছু যায় আসেনা!’
অন্যদিকে, খড়্গপুরে ইতিমধ্যে রেল বাংলো নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। গত ১৭ এপ্রিল রেলের তরফে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খড়্গপুর শহরের রেল এলাকাতে তৃণমূলের ২১টি পার্টি অফিস ও বিজেপি-র ১২টি পার্টি অফিস আছে। এছাড়াও, সিপিএম ও কংগ্রেসের যথাক্রমে ১টি ও ২টি কার্যালয় আছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই কার্যালয়গুলি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ জারি করেছে রেল। সে প্রসঙ্গেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদের হুঁশিয়ারি, ‘বাংলো ভাঙতে পারবে না! তৃণমূলের পার্টি অফিস কিন্তু ভাঙতে পারে। পেছনে লাগলে এরকমই হয়। আর ভাঙিয়েই ছাড়ব!...যেমন মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা ঘরছাড়া হয়েছে, এখানেও তেমনি TMC-কে ঘরছাড়া করেই ছাড়ব।’
অনুগামীদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিয়ের পর দিনই খড়্গপুর শহরের সাউথ সাইডের সেই বিতর্কিত ‘৬৭৭ নং রেল বাংলো’তে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাত ৮টা নাগাদ নিজের বাংলোতে পৌঁছন তিনি। খড়গপুরের দলীয় কর্মীরা তথা অনুগামীরা দিলীপের জন্মদিন পালন করেন। উপস্থিত ছিলেন বর্তমান জেলা সভাপতি সমিত মণ্ডল, প্রাক্তন জেলা সভপতি সুদাম পণ্ডিত, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী পারিজাত সেনগুপ্ত প্রমুখ।
শনিবার নিউ টাউনের বাড়ি থেকে রওনা হওয়ার আগে অবশ্য জন্মদিনে অনেকেরই শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন। এ দিন তাঁর পছন্দের কুমড়ো দিয়ে পুঁইশাক রান্না হয়েছিল। দিলীপের মা-ই রান্না করেছেন। নতুন বউ প্রথম দিন রান্নাঘরে ঢুকুক, সেটা চাননি শাশুড়ি।