শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ খড়্গপুর গ্রামীণ থানার চাঙ্গুয়াল এলাকায় রেশমি মেটালিক্স কারখানার ৬ নম্বর ইউনিটে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। মৃত দুই শ্রমিকের নাম রাহুল মিদ্যা (২৭) ও তাপস জানা (৪০)। কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভিযোগ ও দুই শ্রমিকের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পুলিশের মধ্যস্থতায় ওঠে বিক্ষোভ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দুই শ্রমিকের মধ্যে রাহুলের বাড়ি শালবনী থানার গোদাপিয়াশাল এলাকায় এবং তাপসের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর এলাকায়। সহকর্মীদের দাবি, প্ল্যান্টের মধ্যে নির্মাণ কাজের জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। সেখানে প্রায় ২০ ফুট গর্তের মধ্যে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই দুই শ্রমিকের।
কারখানায় শ্রমিকদের নূন্যতম নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন কর্মরত শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে মৃত দুই শ্রমিকের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ আটকে আন্দোলনে নামেন কর্মরত শ্রমিকরা। পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতেও দেওয়া হয়নি বলে দাবি। শনিবার দুপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর সন্ধ্যা নাগাদ কাটে জটিলতা। কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে পুলিশকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হয়।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, এই কারখানার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের উপযুক্ত নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে।
রেশমি মেটালিক্স কারখানা এক আধিকারিক ভাস্কর চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে। তবে শ্রমিকদের শিফট শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে, কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ৭টা নাগাদ।’