সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: পাট খেত নষ্ট করার জন্য ছাগল বেঁধে রাখার জের। সেই কারণে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের তপসিখাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাটকাপাড়ায় এক আদিবাসী গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কাপড় ছিঁড়ে দিয়ে গৃহবধূর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে শনিবার আলিপুরদুয়ার থানায় তুমুল বিক্ষোভ দেখাল আদিবাসী সম্প্রদায়ের কয়েকশ মানুষ। এই বিক্ষোভের জেরে এদিন আলিপুরদুয়ার থানার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়।
ছাগলে পাট খেত নষ্ট করার ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ এপ্রিল। পাট নষ্ট করায় আদিবাসী দম্পতি প্রতিবেশীর ছাগলটি বেঁধে রাখেন। অভিযোগ, তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছাগলের মালিক ও তাঁর ভাই মিলে দম্পতিকে কোদালের বাট দিয়ে মারধর করে। জখম মহিলার অভিযোগ, শুধু মারধরই নয়। ওই দুই ব্যক্তি তাঁর পরিধানের কাপড় ছিঁড়ে দিয়ে শ্লীলতাহানিও করে। কিন্তু অভিযোগ জানাতে গেলে স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিস উল্টে তাঁদেরকেই হেনস্তা করছে।
দম্পতির আরও অভিযোগ, উল্টে ছাগলের মালিক তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিসের কাছে। পুলিস অভিযুক্তদের অভিযোগ নিলেও তাঁদের অভিযোগ নিচ্ছে না। এই খবর যায় আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের কাছে। এরপরেই জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার দুই জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে শনিবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের কয়েকশ মানুষ আলিপুরদুয়ার থানায় দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের কারণে এদিন থানায় ঢোকার মূল গেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিস। পরে বিক্ষোভকারীরা ছাগলের মালিক, তাঁর ভাইয়ের কঠোর শাস্তি ও দম্পতির অভিযোগপত্র নেওয়ার দাবি করে জেলার পুলিস সুপারের অফিসেও ডেপুটেশন দেয়।
দক্ষিণ পাটকাপাড়ার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বাণী ওরাওঁ বলেন, দুই পক্ষই পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে। পুলিস বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক। পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ওই দম্পতির অভিযোগপত্র নেওয়া হয়েছে। প্রতিলিপিও দেওয়া হয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।