• জল-কাদায় নাস্তানাবুদ শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটে জল জমা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফের বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। রেগুলেটেড মার্কেটে জল জমার জন্য বাজারের ভিতর যথেচ্ছভাবে অবৈধ দোকান নির্মাণকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন দিলীপবাবু। এজন্য তিনি মার্কেট কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন।  

    প্রথম থেকেই শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের নিকাশি ব্যবস্থা বলে কার্যত কিছু নেই। বৃষ্টি হলেই অলিগলিতে জল দাঁড়িয়ে থাকছে। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে এলাকায় জল জমে যায়। রাস্তা থেকে আড়ত পর্যন্ত পর্যন্ত জলময়। গাড়ি যেতে চাইছে না। দোকানে যেতে হলে নোংরা জল ভেঙে যেতে হচ্ছে। চারদিকের কাদামেশা জল। এক চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। জল শুধু বাজারের রাস্তাতেই জমেনি, দোকানের ভিতরে ঢুকে জিনিসপত্রের ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ করেন আড়তদার বৈদ্যনাথ যাদব। তিনি বলেন, বহুবার বাজার কমিটি তথা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। দোকানে জল ঢুকে জিনিস নষ্ট হচ্ছে। জলের জন্য গাড়ি ভিতরে ঢুকতে পারছে না। এভাবে ব্যবসা করা যায় না। 

    এই রেগুলেটেড মার্কেট থেকে ফল, সব্জি ও মাছ শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকায় পাশাপাশি ভুটান, সিকিম সহ পাহাড়ে রপ্তানি হয়। কিন্তু বাজারের ভিতরে রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়ায় বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়, চলাফেরা করা যায় না। এই পরিস্থিতির জন্য মার্কেট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলার তৃণমূলের দিলীপ বর্মন। তিনি বলেন, বাজারে নিকাশি ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। আগে বাজারের বিভিন্ন দিক দিয়ে জল বেরিয়ে যেত, কিন্তু যথেচ্ছ অবৈধভাবে দোকান ঘর তৈরি হয়েছে। এই অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সহ প্রতিবাদ জানানোর পরও মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারা সব দেখেশুনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদেরকেই এর দায় নিতে হবে। 

    শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের সচিব অনুপম মিত্র তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে জল বেরিয়ে যাওয়ার পথ একটি আবাসন চত্বরে বন্ধ করে দিয়েছেন কাউন্সিলার।  এই সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে এশিয়ান হাইওয়ের কাজ। বাজারের সামনে হাইওয়ের কাজ চলছে। তারজন্য সামনে দিয়ে জল বের হওয়ার পথ নেই। নিকাশি ব্যবস্থার জন্য শিলিগুড়ি পুরসভাকে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)